মোহনপুরে মাছ মরে মৎস্যচাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২০; সময়: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ |
মোহনপুরে মাছ মরে মৎস্যচাষীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুরঃ রাজশাহীর মোহনপুরে চাষকরা পুকুরের মাছে হঠাৎ মোড়ক ধরে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন মৎস্য চাষীরা। সপ্তাহের শনিবার ও বুধবারে সাপ্তাহিক কেশরহাটের দিন। প্রতি দিনের মতো বাজারে স্বাভাবিক মাছ আসার কথা থাকলেও কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রাক, ভুটভুটিযোগে হাটে আমদানি হতে থাকে শত শত মন মাছ। হঠাৎ করে অতিরিক্ত মাছ আমদানির কারণে আড়ৎদাররা মাছ বেচা-কেনা বন্ধ করে দেয়।

অতিরিক্ত মাছ আমদানির কারণ হিসেবে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার প্রচন্ড তাপদাহের পর হাল্কা বৃষ্টির কারণে অক্সিজেন শুন্যতায় বেশিরভাগ পুকুরের মাছ উপরে উঠে খাবি খেতে খেতে মরতে শুরু করে। আর এ মাছগুলি আমদানির কারণে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে কেশরহাট বড় ব্রীজ এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র যানজটের সৃৃৃৃষ্টি হয়েছে। মাছ বাজারে ধারণ ক্ষমতা উপচে গেলে কেশরহাট মাছ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রি হয়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪/৫ কেজি ওজনের ১ টি মাছ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রয় করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হয় ১০ টাকা থকে ২০ টাকা কেজি দরে। দুপুর ১ টার দিকে অনেক মাছ পচে নস্ট হওয়ার কারণে ফেলে চলে যায় ব্যবসায়িরা।

এ বিষয়ে কেশরহাটে আসা দুর্গাপুর উপজেলার নুরু নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন হঠাৎ অক্সিজেন ঘাটতির কারণে মাছ মরে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার । শুধু তার পুকুরে মাছের এ সমস্যা নয় অনেকের পুকুরের মাছ মরে গেছে বলে জানান তিনি।

কেশরহাটের স্থানীয় মৎসচাষি মহব্বত আলী বলেন, অক্সিজেন ফেল করে তার পুকুরের মাছও মরে গেছে। কেশরহাট মাছ বাজারের আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, হঠাৎ অতিরিক্ত মাছের আমদানি হওয়ার কারণে প্রক্রিয়া জাতের অভাবে প্রায় মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। মাছ গুলি ঢাকায় পাঠানোর উপযোগি ছিলনা।

এজন্য মৎস্য চাষিরা ডাকের মাধ্যমে মাছ বিক্রয় না করে ঠিকা চুক্তিতে মাছ আড়ত মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ বাজারে মোহনপুর, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, পবা, বাগমারা উপজেলা হতে মাছ এসেছে।

সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার মাছ আমদানি হলেও পুকুর মালিকদের দুর্দশা দেখে আড়ৎদারি কমিশন ছাড়াই মাছ বিক্রির সুযোগ করে দেয়া দিয়েছেন আড়তদাররা।

এ বিষয়ে জানতে মোহনপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

  • 205
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে