তানোরে এতিম খানার ছাঁদ ঢালায়ের রড় দিলেন অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২০; সময়: ৮:০৭ অপরাহ্ণ |
তানোরে এতিম খানার ছাঁদ ঢালায়ের রড় দিলেন অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : তানোরে চাপড়া (শিশুসদন) এতিম খানার ২য় তলার ছাঁদ ঢালায়ের দেড় টন রড় দিলেন তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান চাপড়া কৃষি প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চাপড়া এতিম খানার দান অনুদানের তহবিল থেকে ২য় তলা ভবন নির্মান কাজ এগিয়ে চলেছে। ওই ভবনের ছাঁদ ঢালায় বাকি আছে, যার জন্য দেড়টন রড় প্রয়োজন। এটা জেনে অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে দেড় টন রড়ের দাম নগদ ৮০ হাজার টাকা (শিশুসদন) এতিম খানার সভাপতির হাতে তুলে দেন।

২ই সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টার দিকে চাপড়া (শিশুসদন) এতিম খানা চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এতিম খানার সভাপতি জসিম উদ্দিনের হাতে অনুদান দেড় টন রড়ের মুল্য বাবদ ৮০হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।

অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী তার ব্যাক্তিগত সহবিল থেকে অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক/ কর্মচারী কল্যান সমিতির সভাপতি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মিক্ষক জিল্লুর রহমান।

চাপড়া (শিশু সদন) এতিম খানার সুপার হাফিজুর রহমান, চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান, চাপড়া কৃষি প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ওহিদুজ্জামান খান বাবু প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত সকল এতিম শিশুদের কিশোরসহ এলাকাবাসীর সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণও করেন অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী।

উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী তার নিজের সাড়ে ২১ বিঘা জমি তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের নামে দান করে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দেড় বিঘা জমি দান করেছেন সেই জমির উপর ৩তলা ভবন নির্মান কাজ চলছে এবং চাপড়া (শিশুসদন) এতিম খানায় ৪বিঘা জমি দান করার পর সেখানে (শিশুসদন) এতিম খানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি গুবির পাড়ার জামে মসজিদ ও চাপড়া মিরাপাড়া জামে মসজিদ টাইলস দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে তিতি আমশো গ্রামের ২টি জামে মসজিদে সিমেন্ট দিয়েছেন প্রায় ২শ’ব্যাগ। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় নিরবে দান অনুদান করেছেন।

এবিষয়ে চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক ও তানোর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী সমিতির সভাপতি চাপড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান এসব বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইসাহাক আলী একজন দানশীল ব্যাক্তি, তার এই দান অনুদানের বিষয়ে তেমন কেউ জানেন না। তিনি বলেন, নিরবেই ইসাহাক আলী দান অনুদান দেয়াসহ সামাজিক সেবা মুলক কর্মের কারনে এলাকাবাসীর কাছে অমর হয়ে থাকবেন।

এনিয়ে তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান চাপড়া কৃষি প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী বলেন, দান অনুদান দেয়ায় মনের মধ্যে এক ধরণের প্রশান্তি অনুভব করা যায়।

তিনি বলেন, কেউ মসজিদ বা মাদ্রাসার জন্য অনুদান চাইতে আসলে তাকে ফিরিয়ে দিতে খুব কষ্ট হয়। তাই সাধ্যমত যা পারি দান করি। কোন কারনে যদি কাউকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে মনের মধ্যে এক প্রকার অসান্তি অনুভব করি।

  • 29
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে