রাজশাহীতে দেড় বছর পর স্কুলছাত্র হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় দেড় বছরের বেশী সময় পর রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্র আরিফ হোসেন (১৯) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আরিফকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এ হত্যাকান্ডে জড়িত মিজানুর রহমান (৩৬) নামে একজন গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় শিকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদ মিজানুরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই এর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান।

গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের বাড়ি বাঘার রুস্তমপুর ভারতীপাড়ায়। তিনি ইব্রাহিম আলীর ছেলে। মিজানুর পেশায় ভ্যান চালক। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সে এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে। মিজানুর আদালতে তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে আরিফের চাচা কুদ্দুসের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। কুদ্দুস ছাড়াও হত্যাকান্ডের সময় মিলন ও মজনু নামের আরও দুইজন সেখানে উপস্থিত ছিল। প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে মিজানুর স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

আব্দুল মান্নান বলেন, স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকান্ড ক্লু বিহীন ঘটনা ছিল। দীর্ঘ তদন্তে এ হত্যা মামলার কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি মামলাটি পিবিআইয়ে আসে। এর পর তদন্ত শুরুর হলে সন্দেহভাজন হিসেবে ভ্যান চালক মিজানুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছ থেকেই এ হত্যার ক্লু পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘায় আগুনে পুড়িয়ে মারা কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার রস্তমপুর ভারতিপাড়া গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে। আনোয়ার হোসেনের আম বাগানের মাঝখানের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। চারঘাটের পান্নাপাড়া ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল আরিফ।

আগের দিন ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুস্তমপুর বাজারে যায় আরিফ। পরে রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। ধারনা করছিলেন, নানি অথবা বোনের বাড়িতে গিয়েছে। পরের দিন দুপুরে গ্রামের লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। এ ঘটনায় আরিফের মা আছিয়া বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।