রাজশাহীতে স্বামী ‘হত্যা’ ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর আগে স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সেটি পুলিশ ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। রাজশাহী নগরীর এক নারী স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিনি এই স্মারকলিপি দেন।

ওই নারীর নাম নমিতা রানী রক্ষিত (৪১)। নগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকায় ওই নারীর বাড়ি। সোমবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। জেলা প্রশাসক এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজেও বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন বলে ওই নারীকে বলেছেন।

স্মারকলিপিতে নমিতা রানী রক্ষিত উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২১ মে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে তার স্বামী শ্যামল রক্ষিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা। গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে একটি চিকন মেহগনি গাছের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায় তারা। একইসঙ্গে হত্যাকারীরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে একটি চিরকুট তার স্বামীর প্যান্টের পকেটের ভেতরে রেখে যায়।

এ ঘটনায় নমিতা রানী রক্ষিত ঘটনার পরদিন শাহমখদুম থানায় এজাহার দিতে যান। কিন্তু থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার গ্রহণ করেননি। স্মারকলিপিতে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে নমিতা রানী বলেন, থানার তৎকালীন ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচার চেয়েও তিনি পাননি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রাজশাহীও এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। হত্যাকারীদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নাটোরে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সবশেষে তিনি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নমিতা রানী তার দাখিল করা এজাহারটি গ্রহণ করে স্বামী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। স্মারকলিপিতে নমিতা রানী তার স্বামী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে পুলিশ কীভাবে ধামাচাপা দেওয়ার ও এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন।