আরডিএ’র নকশা বহির্ভুত ভবন নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২০; সময়: ১১:২৮ অপরাহ্ণ |
আরডিএ’র নকশা বহির্ভুত ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম পীর সাহেব পাড়া এলাকায় আরডিএ-এর নকশা বহিভূত বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধে কয়েক দফায় আরডিএ-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এতে আরডিএ কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দিলেও তা মানা হয়নি। কিন্তু আরডিএ কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞাজারী করলেও কোনো ধরনের তদারকি করেনি। এতে নির্দিধায় ভবনের মালিক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর হড়গ্রাম পীর সাহেব মহল্লায় হড়গ্রাম মৌজার আরএস ২৮৮৬ দাগে ৫তলা বিশিষ্ট একটি ভবন এই এলাকার মিজানুর রহমান তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমের নামে করেছেন। ভবন নির্মাণের আগে আরডিএ থেকে অনুমোদন ও ভবনের নকশা করে নেয়া হয়েছে। নকশা ও অনুমোদন পাওয়ার পর ইমারত নির্মাণ আইনে কাজ করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়।

কিন্তু আরডিএ থেকে ভবনের যে নকশা নেয়া হয়েছে সে নকশা অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। নকশায় ভবনের সামনে ৩.৪৫ মিটার উম্মুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভবনের মালিক ১.৫০ মিটার উম্মুক্ত রেখে ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ভবনের পশ্চাতে ১.৫০ মিটা উম্মক্ত রাখার কথা থাকলেও ০.৯১ মিটার রেখে ০.৬০ মিটির ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। পুর্ব পাশে ১মিটার উম্মুক্ত রাখার কথা থাকলেও ০.৯১ মিটার উম্মুক্ত রেখে ০.৬০ মিটিার বর্ধিত করে ছাদ দেয়া হয়েছে।

পশ্চিম পাশে রাস্তা বাদে ৩ মিটার উম্মুক্ত রাখার বিধান থাকলেও ০.৯১ মিটার উম্মুক্ত রেখে তার মধ্যে ০.৬০ মিটার ছাদ বর্ধিত করা হয়েছে। আরডিএ’র আইন অনুযায়ী তিনি বিল্ডিং কোর্ড অনুমোদনের ১৩নং শর্ত ভঙ্গ করেছে। এছাড়াও পশ্চিম পাশের রাস্তায় কোনো জায়গা রাখা হয়নি। একেবারে রাস্তার সাথে সঙ্গতি রেখে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসার পর প্রতিবাদ জানান। তাকে পশ্চিম পাশে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু তিনি তারপরও ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় স্থানীয়রা আরডিএ-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে আরডিএ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে ভবন নির্মাণের অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। পরে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দেয়া হয়। কিন্তু ভবনের মালিক মিজানুর রহমান আরডিএ-এর কিছু প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে ওই ভবনের মালিক মিজানুর রহমান জানান, নকশার কিছুটা নয়ছয় হয়েছে। তবে খুব বেশি হয়নি। তিনি বলেন চারদিকে যে জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল তার কিছুটা হেরফের হয়েছে। ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের সময় স্থানীয়রা সাথে ছিলেন। তারা যে পর্যন্ত জায়গা সে সময় রাখতে বলেছিলেন সে পর্যন্ত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তি সার্থসিদ্ধির জন্য অভিযোগ করেছেন।

এব্যাপারে আরডিএ-এর অর্থরাইজ আবুল কালাম আজাদ জানান, নিষেধাজ্ঞার পরও কেনো ভবন নির্মাণ করা হলো সেভাবে ভবনের মালিককে কৈফিয়ত তলব করা হবে। একই সাথে আগামী সভায় ওই ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

  • 2.5K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে