তানোরে পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২০; সময়: ৭:৫২ অপরাহ্ণ |
তানোরে পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে

সাইদ সাজু, নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : তানোরের ২টি পৌর সভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে শীর্ষ নেতাদের কাছে দৌড়-ঝাপ ও লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন। সেই সাথে দোয়া চেয়ে এলাকায় ব্যানার ফেস্টন লাগিয়ে গনসংযোগ শুরু করেছেন।

ফলে, তানোরের ২টি পৌর এলাকায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। অপর দিকে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাসহ হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা কে হচ্ছেন কোন দলের মেয়র দলীয় মেয়র প্রার্থী।

তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দখলেই রয়েছে। এবার তানোর পৌরসভা দখলে নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা আ’লীগ সহ-সভাপতি ও হাট ইজারাদার আবুল বাশার সুজনকে এনে আ’লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী করার আশ্বাষ দিয়ে আগাম মাঠে নামিয়েছেন।

আবুল বাশার সুজন আ’লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে এলাকায় গনসংযোগ ও সভা সেমিনারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান অনুদান দিয়ে ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিš‘ আ’লীগ যুবলীগসহ অংগ সংগঠনের পদপদবি ধারী নেতাদের সাথে তেমন একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেননি।

ফলে আ’লীগ ও যুবলীগসহ অংগ সংগঠনের পদপদবি ধারী অনেকেই সুজনকে মেনে নিতে পারছেন না। অনেকেই প্রকাশ্যে বিরধীতা না করলেও তার সাথেও থাকছেন না তারা। অনেকেই বলছেন দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজনীতি করছি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছি।

কিন্তুু আমাদের সকলকে বঞ্চিত করে বহিরাগত লোক এসে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। যা মেনে নিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ইংগীত দিয়ে তারা বলছেন বহিরাগতকে আমরা মেনে নিবোনা।

তানোর পৌর আ’লীগ সভাপতি ইমরুল হক গত নির্বাচনে মাত্র ১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে মাঠে ভোটারদের সাথেই রয়েছেন। কিন্তুু সুজনকে সম্ভাব্য প্রার্থী করার ঘোষনায় তিনি বিরোধীতা করে লবিং-গ্রুপিং শুরু করে শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

অপর দিকে এবারো বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত হয়ে আছে তানোর পৌর সভার বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের। তিন করোনা কালে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পৌর ভবনে রাতদিন অবস্থাণ করে দান অনুদান ও সহায়তা প্রদান করে ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

তবে, মুন্ডমালা পৌরসভায় কে হবেন আ’লীগের ও বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী তা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। মুন্ডমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী অনেক আগেই প্রার্থী না হওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।

ফলে রাব্বানীর অুনসারী মুন্ডমালা পৌর আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান অনেক আগে থেকেই শুভেচ্ছাসহ দোয়া চেয়ে এলাকায় ফেস্টুন ব্যানার লাগিয়ে আসছেন। করোনা কাছে কয়েক হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়ে ভোটারদের মনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

কিন্তুু তিনি স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরীর অনুসারী না হওয়ায় তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও দ্বিধা রয়েছে। তবে, যদি গোলাম রাব্বানী মেয়র পদে নির্বাচন করেন তাহলে সাইদুর নির্বাচন করবেন না এটা নিশ্চিত। আর যদি আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন অন্য কাউকে দেয়া হয় হলেও সাইদুর রহমান নির্বাচন করবেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে।

মুন্ডমালা পৌর সভায় আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে স্থানীয় সংসদসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন রাজশাহী জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি শরীফ খান।

অপর দিকে মুন্ডমালা পৌর আ’লীগ সভাপতি ও রাজশাহী জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, মুন্ডমালা পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও মুন্ডমালা পৌর প্যানেল মেয়র আমির উদ্দিন আমিনসহ বেশ কয়েকজন তরুন নেতাও চেষ্টা করছেন।

তবে, মুন্ডমালা পৌর সভায় আ’লীগ ও বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন করা পাবেন এটা এখনো ভোটারদের মধ্যে পরিস্কার না হলেও ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয় পাওয়া ফিরোজ কবির মাঠে তেমন একটা না থাকলেও নেতা-কর্মিদের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন।

অপর দিকে মোজাম্মেল হক গত নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়য় এবার মনোনয়ন পাওয়ার সেই সাথে সাবেক কাউন্সিলর আতাউর রহমান মাঠে না থাকলেও মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।

তানোর ও মুন্ডমালা পৌর সভার পাড়া-মহল্লা মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে হাট-বাজারে ভোটারদের মধ্যে কে কোন পৌরসভায় কে কোন দলের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ফলে, পৌর এলাকায় আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

  • 48
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে