রাজশাহী নগরে বাড়ি-মার্কেটে হামলা, পুলিশ মামলা নেয়নি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২০; সময়: ৭:৪২ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী নগরে বাড়ি-মার্কেটে হামলা, পুলিশ মামলা নেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাড়িতে ও মার্কেটে হামলার পরেও মামলা নিচ্ছেনা দুই থানার পুলিশ। ভুক্তভোগি মা ও ছেলের অভিযোগ তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে শাহ কামরুজ্জামান বাপ্পা। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ বোয়ালিয়া থানা পুলিশ বিষয়টিকে পারিবারিক সমস্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে। চন্দ্রিমা থানা পুলিশের কাছে ঘটনার দিন একটি অভিযোগ দেয়া হলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানাচ্ছেন তার কাছে এটি আসেনি।

গত ৩০ জুলাই নগরীর বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের পাশের মার্কেটে এবং এর উল্টাদিকের বাড়িতে হামলা চালায় শাহ কামরুজ্জামান বাপ্পা এবং তার লোকজন। এসময় মার্কেটের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। ফুটেজে এ সময় এই ভাংচুর এবং সেখানে বাপ্পার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারি শাহ অমিত ফয়সাল জানান, শাহ কামরুজ্জামান বাপ্পা তার চাচা। তার বাবা মারা যাওয়ার পরে সম্পত্তি বাটোয়ারা মামলা করার পর থেকে তার এবং তার মা শাহিনা শাহর ওপর অত্যাচার করে আসছে তার চাচা। এর আগেও কয়েকবার তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। গত ৩০ জুলাই সকালে বাপ্পার উপস্থিতিতে তার মালিকানাধীন মার্কেটের সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে দেয় কিছু সন্ত্রাসী। এ ঘটনার পুরোটাই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রয়েছে। এর পরে মার্কেটের উল্টো দিকের বসত বাড়িতে হামলা চালায় বাপ্পার সন্ত্রসী বাহিনী।

বাড়িতে হামলার বিষয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়। কয়েকবার পুলিশ এই বাড়িতে যায়। রাতে থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মণ এলাকা পরিদর্শন করেন। বাড়ির বিপরীতের মার্কেটটি চন্দ্রিমা থানার আওতায় পড়েছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার রবিউল ইসলামের কাছে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। এর পর থেকে তাদের ওপর বাপ্পা বাহিনীর অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। তাকে মাদকের মিথ্যা মামলায় ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তার শালবাগনের একটি জায়গার সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে দেয়া হয়। তারা বিষয়টি দুই থানায় জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি।

এ বিষয়ে শাহ কামরুজ্জামান বাপ্পা বলেন, এগুলো ষড়যন্ত্র। তাকে তাবিজ কবজ করে অসুস্থ করে দেয়া হয়েছে। যে বাড়িতে হামলার কথা বলা হয়েছে সেখানে কেউ থাকে না। যে বাটোয়ারা মামলার কথা বলা হয়েছে তা তারা তুলে নিয়েছে। মার্কেটে হামলার বিষয়টি সাজনো।

ফুটেজে তার ছবি রয়েছে এবং তিনি ভাঙচুরকারিদের টাকা দিচ্ছেন এমন কথা বলা হলে তিনি বলেন, নানা ভাবে এখন মানুষকে ফাঁসানো যায়।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মণ বলেন, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এটিকে তিনি চাচা ভাতিজার বিরোধ বলে অভিহিত করেন। এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। হুমকি ধামকির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ জাতীয় অভিযোগ তার কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ ডিউটি অফিসারের কাছে দেয়া হয়েছে জানানো হলে তিনি বলেন এটি তার টেবিলে পৌঁছে নি।

  • 648
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে