রাজশাহীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২০; সময়: ৮:২২ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী (মঙ্গলবার)। গত বছরের এই দিনে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির পক্ষথেকে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে রাজশাহী মহানগরের ১২টি স্পটসহ মহানগর কার্যালয়ে কোরআন খতম, দোয়া, আলোচনা সভা এবং খাবার বিতরনের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টাথেকে শুরুকরে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মহানগরের নেতা কর্মীদের ব্যাপক অংশ গ্রহনের মধ্যদিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টি রাজশাহী মহানগর শাখার সদস্য সচিব ড. মোহা: আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার উন্নয়নের রুপকার, সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি, পল্লীবন্ধু‘ প্রয়াত নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুধু বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার। তিনি যেমন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছেন, শুক্রবার সরকারি ছুটি দিয়েছেন, ঠিক তেমনি শ্রীকৃঞ্চের জন্মাষ্টমীতেও সরকারি ছুটি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ট্রাস্টও গঠন করে এদেশের মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্যহীন দুনীর্তিমুক্ত একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আমৃত্যু তিনি সেজন্য কাজ করে গেছেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগামী দিনে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবে।

সর্বশেষে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সদস্য সচিব ড.মোহা:আবু ইউসুফ সেলিম ও আহবায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাতীয় পার্টি রাজশাহী মহনগরের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

উল্লেক্ষ্য, ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসেন। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এরশাদ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ সালে জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তিনি।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করে তার দল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে বিজয়ী হয়। এরপর দশম ও সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চলতি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে