গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০; সময়: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। অবৈধ বালু কারবারিদের এই হামলার ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান পাপ্পু ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শ্যামল ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

উল্লেখিত, সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালুমহাল ইজারার নামে একটি সিন্ডিকেট রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ ফরিদপুর ও সারাংপুর থেকে অবৈধখভাবে বালু উত্তোলন, মজুদ ও পরিবহন করছে। প্রশাসনের নাকের ডোগায় এই অবৈধ কারবারে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ২ কোটি টাকায় ইজারা নেয়া গোদাগাড়ীর বালুমহাল ইজারাদার জাহাঙ্গীর অ্যান্ড সন্স। তিনি অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত হন সংবাদকর্মীরা।

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং ক্ষতিগ্রস্থ ইজারাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে বেসরকারি চারটি চ্যানেলের সংবাদকর্মীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহে যান। প্রথমে তারা সুলতানগঞ্জ ফরিদপুর অবৈধ বালু উত্তোলনের চিত্র ও স্থানীয়দের বক্তব্য সংগ্রহ করেন। পরে তারা সারাংপুর বালুঘাটে গেলে এই দুই স্থানের অবৈধ বালু কারবারি আনারুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে তার ছেলে রুমন বিশ্বাসের সন্ত্রাসী বাহিনী সংবাদকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা সংবাদকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সবার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়।

সন্ত্রাসী রুমন বাহিনীর মৃত আসগর আলীর ছেলে সানাউল্লাহ, মৃত ফুয়াদ আলীর ছেলে কিবরিয়া ও তার ভাই কাজল, বাটুলের ছেলে রাজিব, মান্নান আলীর ছেলে বাবু, মৃত ফজলু বেপারীর ছেলে কাসিম আলী, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রহিম আলীসহ ২০ থেকে ৩০ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালিন আচরণ এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি, শারীরিক লাঞ্ছিত করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এর পর বালু কারবারি আনারুল বিশ্বাস নিজে এগিয়ে সাংবাদিকদের উপর লাঠিচার্জ করে।

পরে খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ ও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গিয়ে সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করে। এ সময় আনারুল পুলিশের কাছে সংবাদকর্মীদের চাঁদাবাজ বলে প্রচার করে পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান বালু কারবারি আনারুল ও সন্ত্রাসী রুমনের হামলা এবং অশালিন আচরণের ধারণ করা চিত্র দেখার পর মোবাইল ও ক্যামেরা ফেরত দেন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে