খানাখন্দে ভরা রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা সড়ক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২০; সময়: ৩:১৯ অপরাহ্ণ |
খানাখন্দে ভরা রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা সড়ক

নজরুল ইসলাম বাচ্চু, চারঘাট : রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার প্রধান সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে রাস্তা জুড়ে অসংখ্য ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চারঘাট উপজেলার প্রায় ১৫ কি:মি সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে কার্পেটিং উঠে যাওয়া এই খানাখন্দে ভরা সড়কে জীবন ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে পথচারী ও যানবাহনের চালকগন।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদা, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, চারঘাট উপজেলা সদর, চারঘাট পৌরসভা, চারঘাট মডেল থানা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসসহ ১ টি সরকারী কলেজ, ১ টি সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ (নির্মানাধীন), ১টি সরকারী হাই স্কুলসহ বেসরকারী স্কুল ও কলেজে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে এই সড়ক। প্রতিদিন সরকারী ও বেসরকারী কাজে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও ব্যবাসয়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। এছাড়াও রাজশাহী শহর ও শহরে অবস্থিত বিভিন্ন ইউনির্ভাসিটি ও কলেজে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই সড়কটি। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের গর্তগুলো বৃষ্টির পানি জমে কাদায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কিছু কিছু ভাঙ্গা স্থানে ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে যায়। তবে তাতে দুর্ভোগ না কমে বরং আরও বৃদ্ধি পায়।

উল্লেখ্য যে, চারঘাট-বাঘার এই সড়কটি রাজশাহী হইতে ঈশ^রদী বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধাক্ষা সম্বলিত সাইন বোর্ড থাকলেও কর্তৃপক্ষের নিষেধাক্ষা উপেক্ষা করে এই সড়ক দিয়ে পাথর, বালুসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন ভারি যানবাহন চলাচল করে। ফলে ভারি বর্ষনে সড়কের সংস্কারন না করায় ও অতিরিক্ত ভারি যানবাহন চলাচলে অধিকাংশ রাস্তা দেবে যাওয়াসহ খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি উপজেলার গ্রাম সিবপুরে প্রায় কয়েকশত মিটার রাস্তা বসে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া হলিদাগাছির দিঘলকান্দি গ্রাম রোড, তালতলা, ট্রাফিক মোড় রোড হইতে সারদা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কি:মি: সড়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর প্রবেশদারে সামনে, চারঘাট সিনেমা হল মোড় হইতে মিরগঞ্জ মোড় পর্যন্ত ৭ কি:মি: সড়কটি প্রায় শতাধিক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনগুলো হেলে দুলে চলাচল করে। এছাড়াও সড়কটির কাকঁড়ামারী, পিরোজপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাকাঁ সড়কের উপর ইটের হেরিংবোম তৈরি করা হয়েছে।

পরিোজ পুর এলাকার অটো চালক রানা বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। বোঝাই যায় না কোথায় গর্ত আছে, গাড়ীর চাকা গেলেই উল্টে যায়। তারা বলেন সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে চলাচল আরও কষ্টকর হয়ে যাবে। পথচারী সুজন বলেন এটাতো সড়ক নয় যেন মরনফাঁদ, প্রয়োজন তাগিদে এভাবেই চলাচল করতে হয়। তবে প্রসূতি ও অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে তারা জানান।

এব্যাপারে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা বলেন, সড়কটির সকল ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় মেইনটেইন্সের কাজ চলছে। আধুনিক ও টেকশই চার লেনের সড়ক নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই সড়কটি নির্মানের কার্যক্রম শুরু হবে। সবমিলে খানা খন্দকে ভরা এই সড়কটি অবিলম্বে সংস্কার করা হোক এই দাবি এলাকাবাসীর।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে