নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাগমারা জোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২০; সময়: ১:৪৫ অপরাহ্ণ |
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাগমারা জোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-১ বাগমারা জোনের কর্মকর্তাদের গাফলতি ও অবহেলার কারণে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহককে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিলিং অফিসারদের ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলসহ গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও খারাপ আচরণের কারণে শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ওই সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বাগমারার হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। এছাড়াও অযোগ্য নারী বিলিং অফিসারদের পরিবর্তন করে যোগ্য বিলিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা করার দাবী জানিয়েছেন।

স্বরজমিনে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাগমারা জোনাল-১ অফিসে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকান্ডে হতবাগ হয়েছেন গ্রাহকেরা। সামাজিক দূরত্ব না মেনে হুড়োহুড়ি করে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল সংশোধন করে নিচ্ছেন অনেকেই। বিল সংশোধন করতে গেলেও গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করছেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দেশে ব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকদের বিল নেয়া বন্ধ করে দয়ে। এছাড়াও বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা ব্যাংকসহ বিদ্যুৎ বিল গ্রহণকারী স্থান গুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। যার কারণে গ্রাহকেরা তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেনি।

বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে বাগমারা জোনাল অফিসের বিলিং কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত বিলসহ গ্রাহকদের কাছে বিল পরিশোধের চাপ দেয়। বিদ্যুৎ বিলের সাথে মিটারে ব্যবহৃত বিলের কোন মিল না থাকায় গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ অফিসে বিল সংশোধনের জন্য ভিড় জমায়। বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাগণ গ্রাহকদের বিল সংশোধন না করে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। ওই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে গ্রাহকদের তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায়। প্রভাবশালী কোন বিদ্যুৎ গ্রাহক হলে তাদের বিল গুলো দ্রুত সংশোধন করে তাদেরকে বিদায় করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহক আমজাদ হোসেন, সেলিম রেজা, জাহাঙ্গীর আলম, জামাল উদ্দীন, কামাল হোসেন, হেলাল উদ্দীনসহ একাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অধিকাংশ গ্রাহকদের অভিযোগ, বিলম্ব বিলে জরিমানা না নিলেও তার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে গাড়ী ভাড়া দিতে। কেউ কেউ ২৫/৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিদ্যুৎ অফিসে আসতে তাদেরকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া বাবদ ব্যয় করতে হচ্ছে। কোন কোন গ্রাহকদের ডিমান্ড চার্জ অতিরিক্ত ধরা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। এমন গ্রাহকেরা জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা কোন জবাব দেন না। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের এমন গাফলতি তদন্ত করে ওই সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমাদের লোকজন ভাল ভাবে কাজ করতে পারেনি। যার কারণে বিল গুলো তৈরী করতে একটু ত্রুটি হয়েছে। যারা অফিসে আসছে তাদের বিল গুলো সংশোধন করা হচ্ছে। এরপর থেকে আমাদের অফিসে আর কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে