তানোরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায় করছে এনজিও কর্মিরা

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২০; সময়: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ |
তানোরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায় করছে এনজিও কর্মিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : তানোরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় শুরু করেছেন বিভিন্ন এনজিও কর্মিরা। সরকারী নির্দেশনায় বলা হয়েছে আগামী ৩০ জুনের আগে কোন এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় করতে পারবেন না। এর জন্য মনিটরিং সেলও খোলা হয়েছে। কিন্তু তানোর উপজেলায় বে-সরকারী সংস্থা আশা, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, ঠ্যাংগামারা, শাপলাসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মিরা ঈদের পর থেকেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় শুরু করেছিলেন।

সম্প্রতি সরকারীভাবে অঘোষিত লকডাউন সিথিল করার পর থেকে পুরোদমে এনজিওগুলো তাদের অফিস খুলে যথারিতি কার্যক্রম শুরু করেছেন। তাই এনজিও কর্মিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে তানোর সদরের কয়েকটি এনজিও অফিসে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অফিসগুলো পূর্বের ন্যায় খোলা রয়েছে, অফিস সহকারীরা অফিস পাহারা দিচ্ছেন আর কর্মিরা মাঠে গিয়েছেন কিস্তি আদায় করতে।

তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু কিছু এনজিও কর্মিরা ঈদের পর থেকেই কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজ নিজ সদস্যদের চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু লকডাউন সিথিল হওয়ায় গত রোববার থেকে পুরো দমে কিস্তি আদায় করতে শুরু করেছেন।

বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনজিও কর্মিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন। তবে, ঋণ আদায়ে কর্মিরা তেমন একটা চাপ বা জোর করছেন না বলে দাবি করেছেন এনজিও কর্মিরা।

ঋণ গ্রহিতা কয়েকজন বলেন, এনজিও কর্মিদেরকে ঋণের কিস্তি না দিলে পরবর্তিতে আর ঋণ পাওয়া যাবেনা। একারণেই ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিষদের চেষ্টার পাশাপাশি এনজিও কর্মিদের কথা শুনতে তারা বাধ্য হন।

এ বিষয়ে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি এনজিও’র ম্যানেজার বলেন, উপরের নির্দেশে কিস্তি আদায় শুরু করা হয়েছে। তবে, ঋণ আদায় কাউকেই কোন চাপ দেয়া হচ্ছেনা বলে দাবি করেন।

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো’র সাথে মোবাইলে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে