গোদাগাড়ীর পদ্মার পাড় হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২০; সময়: ৮:৫০ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীর পদ্মার পাড় হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র

এম. আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী : ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি আর এই খুশির আনন্দে চলে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরাঘুরি। কিন্তু মনে শংসয় করোনা মহামারির লকডাউলে পারবে কি সাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে?

কিন্তু সেই ভয় ও শংসয়কে পাস কাটিয়ে গোদাগাড়ীর বিনোদন প্রেমিরা বেছে নিলেন পদ্মা নদীর পাড়।

দীর্ঘ প্রায় তিনমাস হতে চলেছে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরার নিষেধাক্কা। ঘর হতে তেমন বের হতে পারেনি সব বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা ঘরে থেকে এক ঘুয়েমি হয়ে উঠেছে। হাফিয়ে উঠেছে নারীরাও।

সোমবার ঈদ উল ফিতরের দিন বিকেলে গোদাগাড়ী পৌর শহরের পদ্মানদীর তীরে দেখা গেলো বিনোদন প্রেমিদের ভীড়। স্বামী- স্ত্রী, ছেলে মেয়ে, ভাইবোনদের নিয়ে এসেছে অনেকেই ঘুরতে।

সারাদিন ভ্যাপসা গরমের মাঝে বিকেলে পদ্মানদীর তীরে শীতল বাতায় বয়ে যাওয়াই সকল বয়সী মানুষ এসেছে এই নদীর তীরে৷ কেউ বা শিশুদের নিয়ে মেতেছে ঘুড়ি খেলায়।

পদ্মার পাড়ে ঘুরতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা বরকাতুন নেসা পিংকি বলেন, লকডাউনের মাঝে সপ্তাহে দুইদিন অফিস করতে হয়। আর ৪ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় থেকে বিরক্ত লাগছে। ঈদ উল ফিতরের সুযোগে এই পদ্মার পাড়ে ঘুরতে এসেছি। বিকেলের শীতল হাওয়া ভালো লাগছে। বাচ্চারা বাইরে আসতে পেরে খুশি হয়েছে। তবে করোনার কারণে কারো বাসায় যেতে পারিনি বা ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশতে পারিনি। তাই ঘুরতে আসলেও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে ঘুরছি।

চাকুরীজীবি সোহেল হোসেনকে দেখা যায় কয়েকটি বাচ্চাকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে ঘুড়ি উড়ানোর খেলায় মেতেছে আর কিছু দর্শনার্থী তা উপভোগ করছে।

সোহেল হোসেন বলেন, লাকডাউনে কোথাও ঘুরাঘুরির সুযোগ নেই তাই বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে শিশুদের নিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় পার করছি এবং বেশ ভালো লাগছে।

নাচোল হতে আসা আতাউর রহমান জানান, বিকেলে বেড়াতে শ্বশুর বাসা এসে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে আসলাম। অনেকদিন কোথাও যাওয়া নেই। বাচ্চার ঘুরতে পেয়ে বেশ খেলা ধূলায় মেতেছে তারা।

ঘুরতে আসা মারুফ ও সোহেল বলেন, কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি বিকেলে একটু মুক্ত হাওয়া খেতে আসলাম। এতদিন পর বাইরে এসে ভালো লাগছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে