রাজশাহীতে সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২০; সময়: ৯:২৩ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।

সভা শেষে তিনি জানান, জনস্বার্থে রাজশাহী মহানগরী এবং জেলার সব উপজেলার খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ এবং প্রশাসন।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। সেদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খুলেছে। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগরী সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

কিন্তু রাজশাহী নগরীর মার্কেটগুলো নানা কৌশলে খোলা হচ্ছে। জমে উঠেছে ঈদবাজার। আরডিএ মার্কেটের প্রধান ফটক বন্ধ রেখে ভেতরে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছেন দোকানীরা। রাস্তায়ও বের হচ্ছেন অজস্র মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়ভাবে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার বিষয়ে প্রশাসন বলছিল, ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখলে খুব ভালো। কিন্তু যেহেতু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে দোকানপাট খোলা হচ্ছে তাই তাদের বাধা দেয়া যাবে না। তবে মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হলে প্রশাসন অবশ্যই কঠোর হবে।

আর রাজশাহীতে এটি মানা হচ্ছে না এমন এক ফেসবুক পোস্টে জেলা প্রশাসক রোববার রাতে লেখেন, ‘আমরা আমজনতার আচরণ দেখলাম। কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে।’ এর পরদিনই কোর কমিটির সভায় দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত এলো।

জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, মঙ্গলবার (১৯ মে) থেকে সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখা হবে। এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও সকল উপজেলাতে কার্যকর করা হবে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার ও খাবারের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। দ্রুত এ বিষয়ে মহানগরী ও উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী জেলায় গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর শনিবার পর্যন্ত ২১ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে