রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নার্সসহ ১২ জন হাসপাতালে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২০; সময়: ১:৩৫ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নার্সসহ ১২ জন হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে একজন নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাস আক্রন্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের বেশির ভাগেরই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। তবে তিনজন পুরুষ ও এক নার্সকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান করোনা চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির আহবায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ।

তিনি বলেন, ওই নার্স গত ১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তার করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। তাই তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে স্থাপন করা আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করে এ ল্যাবে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচজনের। এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া পায়নি।

এদিকে, শনিবার জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে বিদেশ থেকে এসেছেন দুই হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় এক হাজার ৮০ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩১৪ জন। আর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৬৬ জনকে। গত ২৪ ঘন্টায় চারজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। এরা সবাই মোহনপুর উপজেলা এলাকার।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক আরও বলেন, রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। কোন রোগি যেন চিকিৎসা বঞ্চিত না হন এবং সব কর্মহীন মানুষ যেন খেতে পান সে বিষয়টি গরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও মানুষকে বাড়িতে রাখতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার দেয়া হিসাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জন। মারা গেছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩০ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। লোকজনকে বাড়িতে রাখতে দেশজুড়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কাজ করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে