ইসির দায়িত্ব ফখরুলকে দিলেই বিএনপি খুশি হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২; সময়: ৬:১৩ অপরাহ্ণ |
ইসির দায়িত্ব ফখরুলকে দিলেই বিএনপি খুশি হবে: তথ্যমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেওয়া হলে তবেই বিএনপি খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৪শে জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন নিয়ে সমালোচনা করে বিএনপি জল ঘোলা করছে। তারা ইসি গঠনে আইনের কথা বললেও এখন সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পর এর বিরোধিতা করছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটাই মহৎ নয়।

ড. হাছান বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সে আইন হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বসেছিলেন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ বেশ কয়েকজন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইন করার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন, আইনের একটি রূপরেখাও তারা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, এখন আইন করতে গেলে খুব তাড়াহুড়ো হবে। সুশীল সমাজের পরামর্শ ছিল, তাড়াহুড়ো হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি করা হোক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক’দিন আগেই যারা আইনমন্ত্রীকে তাড়াহুড়ো করে হলেও আইন করার কথা বলেছিলেন, তারাই এখন জুম মিটিং করে বলেছেন- তাড়াহুড়া করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। যারা অধ্যাদেশ করে আইন করার কথা বলেছিলেন, তারা এটাও বলেছিলেন- দুদিনেও অনেক আইন হয়েছে দেশে, একদিনেও অনেক আইন হয়েছে, চাইলে একদিনেও পারা যায়। আজকে যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তখন তারা আবার নিজেদের দাবির বিপরীতে কথা বলা শুরু করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতো বিএনপিও এর বিরোধিতা করেছে। আসলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? সেই প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হলেও বিএনপি খুশি হবে না। তারা আসলে দেশে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতে চান।

হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের কথাবার্তা বলে তারা আসলে রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করছে। পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন তারা অন্য কথা বলছেন। এতেই স্পষ্ট হয়, তাহলে উদ্দেশ্য মহৎ নয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে