‘নৌকার বিপক্ষে’ শাজাহান খান, ক্ষুব্ধ আ. লীগ নেতারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১; সময়: ১০:০০ পূর্বাহ্ণ |
‘নৌকার বিপক্ষে’ শাজাহান খান, ক্ষুব্ধ আ. লীগ নেতারা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মাদারীপুরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বেশ কিছুদিন ধরে নৌকা প্রতীক না থাকার পক্ষে রয়েছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এ ঘটনায় তার ওপর খেপেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা শাজাহান খানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বলেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগ অনেক আগেই শক্তিশালী হয়েছে। এ জন্য শাজাহান খান ভয় পাচ্ছেন, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দে়ন, আর দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী যদি জিতে যায়, তাহলে ওনার (শাজাহান খানের) আর কোনো বাহাদুরি থাকবে না। প্রতীক দেওয়া আর না দেওয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে আপনাকে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। সেটা যদি না হয়, তাহলে আপনি যখন সংসদ নির্বাচনে নৌকা চাইবেন, তখন কী হবে সেটা একবারও কি চিন্তা করেছেন? নৌকার বিপক্ষে থাকারা বাহাদুরি আপনি কমিয়ে দিন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে শাজাহান খানের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনার পছন্দের লোকজন নৌকা পাবে না সেটা ভেবেই আপনার কাছে নৌকা দুর্গন্ধ হয়েছে। আপনিও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা চাওয়ার নৈতিক অধিকার রাখেন না।

বর্ধিত সভায় মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউসুফ চৌকিদার বলেন, তৃণমূলের মানুষ নৌকা চান। কিন্তু শাজাহান খান নৌকা চান না। তৃণমূলের ভোটে ও সমর্থনে তিনি বার বার নৌকায় নির্বাচিত সাংসদ, দুইবারের মন্ত্রী। তিনি এসব ভুলে গেছেন! তার ভুল না শোধরালে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে ক্ষমা করবেন না।

জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। যার মনোনয়ন দাখিল ২ নভেম্বর, বাছাই হবে ৪ নভেম্বর। এই নির্বাচন ঘিরে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন (প্রতীক) না দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য দেন।

সেখানে তিনি বলেন, ইউনিয়নে যত নেতাকর্মী রয়েছে, সবাই নৌকার লোক। একজনকে নৌকা মার্কা দিলে বাকিরা স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়। তখন ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক না থাকলে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাবেন। এ বক্তব্যের পরপরই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে