‘শিশুবক্তা’ মাদানী আটক, মুক্তির দাবি হেফাজতের

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২১; সময়: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ |
‘শিশুবক্তা’ মাদানী আটক, মুক্তির দাবি হেফাজতের

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে আলোচনায় আসা রফিকুল ইসলাম মাদানী (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন।

এদিকে মাদানীকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা। এ সময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির
দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড়ভাই রমজান মিয়া জানান, মাদানী মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজ বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে র‌্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার ভড়ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামূল হককে (২৮) তুলে নেয়। পরে বকুল মিয়াকে ওই রাতে ছেড়ে দিলেও অন্যদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

রমজান মিয়ার দাবি, এ সময় মাদানীর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মুঠোফোন জব্দ করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলামের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা শহরের মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আসাদুর রহমান আকন্দ, মাওলানা তোবাইদ কাসেমী, আতাউর রহমান, গাজী আব্দুর রহিম, মাদানীর বড়ভাই রমজান মিয়া, চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

হেফাজতের নেতারা জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীও তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। তাদের মধ্যে মাদানী সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে পরে ঢাকায় চলে যান। সেখানে লেখাপড়া করাকালেই ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে আলোচিত হন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে