সরকার গণতন্ত্রের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২০; সময়: ৮:০২ অপরাহ্ণ |
সরকার গণতন্ত্রের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি একটি প্রহসনে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে গণতন্ত্রকে ধবংস করে ফেলেছে, গণতন্ত্রের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। কিন্তু এটা শেষ নয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন আর এই নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী না হয়, তারা যদি সরকারের প্রভাবমুক্ত না হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান যদি না থাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ হতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, শক্তিশালী হতে হবে, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ শক্তিশালী হতে হবে, প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং জনগণের কল্যানের জন্য কাজ করতে হবে। আজকে এই আওয়ামী লীগ, যারা বারবার ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে পরিকল্পিভাবে।

সরকার অন্ধকার গহ্বরে আছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারতো অন্ধকারে আছে। চারদিকে কি অবস্থা, মানুষের মধ্যে কি চলছে তা তারা দেখতে পারছে না। জনগণের চোখের ভাষা তারা পড়তে পারছে না, দেওয়ালের লিখন দেখতে পারছে না। তারা সেই অন্ধকার গহ্বরের মধ্যে বাস করছে। সেই সাথে দেশকে টেনে নিয়ে গেছেন ওদিকে, জাতিকে টেনে নিয়ে গেছে ওদিকে। সেই গহবর থেকে আমরা স্বপ্ন দেখাতে চাই। সূর্যের আলো দেখাতে চাই। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই চেষ্টা করি। এই নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেস্টা আমান উল্লাহ আমান নানা ঘটনা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্যাম্প নিজেরা পুড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে। এভাবে তারা একের পর এক মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রাম ছাড়া, বাড়ি ছাড়া করছে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ বলছে, গ্রাম ছাড়ো, বাড়ি ছাড়ো, ১২ তারিখের পর নির্বাচন শেষ হলে আসবে-এভাবে হুমকি দিচ্ছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য যে ব্যবস্থা তারা দাঁড় করেছে আগামী ১২ তারিখ জনগণ যদি দিতে না পারে তাহলে ওই নির্বাচনের পরেই জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার ফেরানোর আন্দোলন শুরু করবে।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী সেলিম রেজার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সর্বক্ষণ আমাদেরকে তারা হুমকি দিচ্ছে, প্রচারণা করতে দিচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের উপ-নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেস্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।

  • 8
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে