বাগমারায় প্রতিদ্বন্দ্বি নেই সভাপতির, সম্পাদক হতে তৎপর হাইব্রিডরাও

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২০; সময়: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ |

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সাজ সাজ রব রাজশাহীর বাগমারায়। উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তৃনমূলের রাজনীতিতে। পদ পেতেও চলছে লবিং গ্রুপিং ও তদবির। আগামী ১৪ নভেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের সম্মেলন কেন্দ্র করে নড়েচড়ে উঠেছে পদ প্রত্যাশী দলের তৃনমূলের নেতারা। একই সঙ্গে দলে অনুপ্রবেশকারি হাইব্রিডদের নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তৃনমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন পদ পতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন দলের এই হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীরা। তারা পদ পেলে দলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তৃনমূল।

এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি নেয় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হকে। বর্তমানে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পর্যায়ের সফল সভাপতি হিসেবে দলের হাই কমান্ডেও তার সুনার রয়েছে।

তবে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়তে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন হাফ ডজন নেতা। এদের মধ্যে রয়েছেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল, নুরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজ উদ্দিন সুরুজ অন্যতম। এদের মধ্যেও রয়েছে হাইবিড।

দলীয় একাধিক সূত্রমতে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এনামুল হকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ছিটকে পড়েনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারন সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু। প্রকাশে এমপির সমালচানা করায় সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর পর বাগমারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তার সঙ্গে কোন ঠাসা হয়ে পড়েন তার সমর্থকরাও। ফলে এবারের সম্মেলনে অংশ গ্রহন করতে পারছে না তারা।

দলে বিভেদ ও ভাঙ্গান ধরানোর জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করে নাম জানাতে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতাকর্মীরা বলেন, কেন্দ্রে বসে নিজেদের ইচ্ছেমত দলের শীর্ষ নেতারা দলের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। এমন কি তারা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কথা মোটেই ভাবেন না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরে দলীয় কোন্দলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত তৃনমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার বাদিরা আওয়ামী লীগের নেতা। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের এই কোন্দল নিরসন করতে হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের এই নেতা।

তৃণমূলের আরেক নেতা জানান, বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা ছিটকে পড়েছেন আর জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে অনুপ্রবেশকারিরা পদ পাচ্ছে। বাগমারায় এমনটা যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের।

  • 92
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে