সরগরম তৃণমূলের রাজনীতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২০; সময়: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ |
সরগরম তৃণমূলের রাজনীতি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাতীয় রাজনীতির গন্ডি পেরিয়ে সবার দৃষ্টি এখন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে তৃণমূল রাজনীতি।

পাড়া-মহলস্নায় শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী ডামাডোল। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নানা কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। স্থানীয় বাজার ও লোকসমাগমস্থলে দিন-রাত চলছে নির্বাচনী আলোচনা। কে কোন দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন বা কে হবেন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র বা কাউন্সিলর এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন।

পাশাপাশি এসব আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে এলাকার প্রধান প্রধান সমস্যা এবং সমাধানে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা। কেউবা আবার আলোচনা করছেন কে নির্বাচিত হলে এলাকার কতটুকু উন্নয়ন হবে। কোন প্রার্থীর নির্বাচন বা মনোনয়নে কী প্রতিবন্ধকতা আছে তা-ও যাচাই করছেন কেউ কেউ।

দেশের অন্যান্য স্থানেও স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ ও আলোচনা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাগবিতন্ডাতেও জড়াচ্ছেন বিভিন্ন পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা। এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে সারা দেশ।

তাছাড়া ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা ধরনের পোস্ট দিচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছেন অনেকেই। আবার নতুন প্রার্থীরা বর্তমান চেয়ারম্যান বা মেয়রের ব্যর্থতাকে সামনে আনার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, দেশের সাড়ে চার সহস্রাধিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও আড়াই শতাধিক পৌরসভাসহ পাঁচ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউপি নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে ইউপির নির্বাচন শেষ হয় একই বছরের ৪ জুন। আইনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

দেশের ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ৪ হাজারের মতো ইউনিয়ন পরিষদে আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে কয়েক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা করছে ইসি।

তাছাড়া করোনার কারণে স্থানীয় সরকারের স্থগিত ১১৫টি নির্বাচন এবং অপসারণ, পদত্যাগ, মৃত্যু ও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে নির্বাচন উপযোগী ১৮৭টি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলতি বছরই সম্পন্ন করার চিন্তা করছে সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়েছে তৃণমূলের রাজনীতি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এলাকাভিত্তিক নানা সমীকরণ কাজ করে থাকে। এসব সমীকরণ কাজে লাগিয়ে মাঠ গোছাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এর পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা, জেলা এমনকি কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অনেক চেয়ারম্যান ও মেয়র প্রার্থীরা মনে করছেন দলীয় মনোনয়ন পেলেই নির্বাচিত হওয়া সহজ হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর থেকেই দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আসা শুরু করেছে। অন্যদিকে অনেক প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন পাকাপোক্ত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় যাতায়াত করছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে