আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে কারা থাকছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০; সময়: ১১:০৩ অপরাহ্ণ |
আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে কারা থাকছে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চলতি সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগের সবগুলো উপ-কমিটির সদস্যদের নাম জমা দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন। ৮ টি বিভাগের সাংগঠনিক উপ-কমিটিসহ মোট ১৭টি উপ-কমিটি গঠনের কথা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।

এই উপ-কমিটিগুলোতে এবার সদস্য সংখ্যা কত হবে- তা সুনির্দিষ্টভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো একেক উপ-কমিটি একেক সংখ্যক সদস্য দিয়ে গঠন করার যে প্রবণতা ছিল, সে প্রবণতা এবার বন্ধ হয়ে গেছে।

এবার সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি উপ-কমিটিতে ৩৫ জন সদস্য থাকবে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল উপ-কমিটি গঠনের শেষ সময়। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৭টি উপ-কমিটির মধ্যে মাত্র ৬টি উপ-কমিটির প্রস্তাবিত নাম জমা হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে। বাকিগুলোর কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সম্পাদকমণ্ডলীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তারা উপ-কমিটির নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন এবং আগামী দুই একদিনের মধ্যে উপ-কমিটিগুলোর নামের তালিকা দলের দপ্তর সম্পাদকের কাছে দেওয়া হবে। দপ্তর এই নামের তালিকাটি সাধারণ-সম্পাদকের কাছে দিবেন এবং এটি সম্পাদকমণ্ডলীতে প্রথম আলোচিত হবে।

সম্পাদকমণ্ডলীর আলোচনার প্রেক্ষিতে এই তালিকাটি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি তার নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করবেন কারা উপ-কমিটিতে থাকছে এবং কারা উপ-কমিটিতে থাকছে না। এখনো পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি তৈরির কাজ চলছে, সেটিতে দেখা গেছে যে, অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপ-কমিটিগুলোতে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এবার ছাত্রলীগ করেনি বা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিল না এ রকম ব্যক্তিদেরকে উপ-কমিটিতে রাখার সুযোগ অনেক কম বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা।

ইতোমধ্যে যে কমিটিগুলোর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে সে কমিটিতে প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি উপ-কমিটি গঠনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

এতে বলাই হয়েছে, প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ যাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা সম্ভব হয়নি। আবার যারা অন্য সহযোগী সংগঠনের মধ্যেও নেই এই রকম ব্যক্তিদেরকেই উপ-কমিটিতে রাখা হবে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতাকর্মী জানিয়েছেন, উপ-কমিটি হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে প্রবেশদ্বার। এই উপ-কমিটির সদস্যের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে তাদের পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বা অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে আনা হবে। সে কারণেই উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আর এখানে এক্ষেত্রে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ছাড়াও স্ব স্ব ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখছেন, এই রকম প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদেরকেও রাখা হবে। যেমন- আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটিতে ছাত্রলীগের বাইরে যারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন, তাদের রাখা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটিতে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন রাখছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন এই রকম ব্যক্তিদের রাখা হবে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এবারের উপ-কমিটি হবে একটু তারুণ্য নির্ভর এবং উপ-কমিটিগুলো যেন সত্যিকার অর্থেই কাজ করে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

  • 36
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে