ইউপি ভোটে প্রয়োজনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০; সময়: ১:১৩ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক থাকছে। তবে কোনো ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলে সেখানে দলীয় প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকতে পারে। গত বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কয়েকজন সদস্য বৈঠকে বলেন, ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সমর্থক। তাদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য প্রার্থী। এ অবস্থায় দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন না হওয়াই ভালো। তখন বৈঠকে এ আলোচনা হয়েছে যে, কোনো ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলে সেখানে দলীয় প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকতে পারে।

বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলী সদস্যদের নেতৃত্বে সাংগঠনিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভাপতিমণ্ডলীর আটজন সদস্য আট বিভাগে ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। তৃণমূল পর্যায়ের এই কমিটিতে তাদের সহায়তা দেবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সদস্য। অর্থাৎ বিভাগ পর্যায়ের এই সাংগঠনিক কমিটিতে একজন করে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য থাকবেন। বৈঠকে খুব কম সময়ের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈঠকে জানিয়েছেন, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এরইমধ্যে পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে যে সব জেলায় সম্মেলন হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটিও জমা হয়েছে। তবে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা পাওয়া যায়নি।

বৈঠকে বলা হয়েছে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে সম্মেলনের পর নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের কেউ কেউ সংগঠনের সংশ্নিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজেদের পছন্দ মতো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে থাকেন। এই মনোভাবে পরিবর্তন আনতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের পদবঞ্চিত রাখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা প্রয়োজনে সংশ্নিষ্ট জেলার প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি পর্যালোচনা করে দেখবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈঠকের পর সংসদ ভবনে তার সরকারি বাসভবনে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে দলের যে সব জেলা ও মহানগর শাখার সম্মেলন হয়নি সেগুলোর কমিটি গঠন করতে হবে। তার আগে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনের কাজ শেষ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দলের বিভাগীয় সম্পাদকরা যারা এখনও উপ-কমিটির তালিকা জমা দেননি, তাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। যে সব জেলা, মহানগর, উপজেলা এবং সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে, তাদেরও আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপ-কমিটিগুলোতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মী, যারা দুঃসময়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। কোনোভাবেই স্বজনপ্রীতি দেখানো যাবে না। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৬১টি ইউনিয়ন, তিনটি জেলা পরিষদ এবং ৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

  • 193
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে