গণতন্ত্রের চর্চা সীমিত বলেই বিএনপিতে ব্যর্থতা!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২০; সময়: ৯:১২ অপরাহ্ণ |
গণতন্ত্রের চর্চা সীমিত বলেই বিএনপিতে ব্যর্থতা!

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নেতৃত্বের দুর্বলতা, সঠিক পরিকল্পনার অভাব আর আদর্শচ্যুতির কারণেই রাজনীতিতে কঠিন সময় পার করছে বিএনপি।

৪২ বছর পেরিয়ে ৪৩-এ পা দেয়া দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা বলছেন, যখন থেকে দলে গণতন্ত্রের চর্চা সীমিত হয়েছে তখন থেকেই একের পর এক ব্যর্থতা জমা হয়েছে বিএনপির ঝুলিতে। তবে, আশার আলোও দেখছেন তারা। তার জন্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়ার পরামর্শ তাদের।

গত বছরের শেষ নাগাদ এমন অভিযোগেই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন এম মোর্শেদ খানের মতো বর্ষীয়ান নেতা। সাবেক দল নিয়ে যদিও এই মন্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত। তবুও চারদশকের বেশি সময় পথচলা বিএনপি থেকে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি চৌধুরী, কর্নেল অলি কিংবা নাজমুল হুদার মতো প্রতিষ্ঠাকালীন নেতার চলে যাওয়া কী শুধুই ব্যক্তিগত কারণে?

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, আমি সবসময় স্পস্ট কথা বলতাম, সবসময় তা বলেত হয়না। এক নেতার সাথে অন্য নেতা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এগুলো থেকে আমাদের বের হতে হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক উর্দি পরা ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে খুন হওয়ার পর অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।

১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। পেছন ফিরে সেই ৪২ বছরের নানা সমীকরণ তুলে ধরেন বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের আরেক সঙ্গী।

দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নানা চড়াই উতরাই পার করে আজকের অবস্থানে বিএনপি। ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষাই তাদের জন্য নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ।

আর বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা নতুন বছরের পথচলায় সঠিক নির্দেশনা ও পরিকল্পনা আসবে কেন্দ্র থেকে।

১৯৮১ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান খুন হওয়ার পর দলের হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। তার নেতৃত্বে একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বিএনপি। দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন দন্ডিত হওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করছেন তারেক রহমান।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে