ত্রাণ অনিয়মে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার : সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২০; সময়: ৪:০৩ অপরাহ্ণ |
ত্রাণ অনিয়মে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার : সেতুমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংকটের সময় ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে বলেই সামান্য অপরাধ করলেও কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অন্যায় অপরাধ করলেই শাস্তি পেতে হবে সে যেই হোক না কেনো। এ জন্য সরকার এরইমধ্যে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত, প্রশাসনিক ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১ দশকে বাংলাদেশ যেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর ফলেই এতো বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা ও জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অন্যান্য রোগের চিকিৎসা থেকে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়ার কারণে চিকিৎসা সেবার পরিস্থিতি সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ রোগীরা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে প্রতিদিন সামান্য সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার কথাও বলেন।

যেসব চিকিৎসক-নার্সরা ফ্রন্ট লাইনে থেকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে তাদের ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

শপিংমলে কেনাকাটায় করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শপিংমলে যারা কেনাকাটা করছেন সেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। অনলাইনে কেনাকাটা করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে। এ জন্য করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদে অনলাইনে শপিং করারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে বর্তমানে ২১২টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার বিস্তার ঘটেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের পরিস্থিতি ভালো হলেও পরিস্থিতি ক্রমেই ক্রমশ অবনতির দিকে। এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই কার্যকর পন্থা।

এ থেকে নিস্তার পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না সামান্য অপেক্ষা বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। করোনার সঙ্গে বসবাসের অভ্যাস আমাদের রপ্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও সংক্রমণ রোধের স্বাস্থ্যবিধি বিভিন্ন বিষয় মেনে চলার আহ্বান করছেন। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কিছু বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরাও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে সক্ষমতা গড়ে তুলছি। প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বের ইনশাল্লাহ আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে