রাজশাহী নগর আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে আলোচনার শীর্ষে বেন্টু

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০; সময়: ৪:২৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী নগর আ.লীগের সম্মেলন ঘিরে আলোচনার শীর্ষে বেন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে মোড়ে মোড়ে ঝুলছে রঙিন পোস্টার-ফেস্টুন ও ব্যানার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাদের সমর্থকরা। আগামী ১ মার্চ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। কাউন্সিলরদের সমর্থন পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গেও রাখছেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

মহানগর সম্মেলন ঘিরে শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সামনে রেখেই বিভিন্ন পদের প্রত্যাশা করছেন নেতারা। যারা পদে আছেন, চেষ্টা করছেন নিজ নিজ পদ ধরে রাখতে। কেউ কেউ পদোন্নতির আশায় ছুটছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। লিটনের সমর্থন পেতে তার কাছেও ধরনা দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। কারণ নেতৃত্ব আর ব্যক্তিত্বের কারণে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে লিটন রয়েছেন অনন্য উচ্চতায়।

তবে সাধারণ সম্পাদক পদে ডজনখানেক নেতা মাঠে রয়েছেন। মোড়ে মোড়ে রঙিন পোস্টার-ব্যানার ঝুলিয়ে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে পদপ্রত্যাশার বিষয়টি জানান দিয়েছেন তারা। যাদের মধ্যে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন আজিজুল আলম বেন্টু। তিনি বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। নগরজুড়ে শোভা পাচ্ছে তার রঙিন পোস্টার-ফেস্টুন ও ব্যানার। ফলে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নগরবাসীর আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বেন্টু।

নেতাকর্মীরা বলছেন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুর পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুবাদে মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তার প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। অতীতে বিএনপি-জামায়াতের সহিংস কর্মসূচি মোকাবেলা, দলীয় কর্মসূচি সফল করা এবং মহানগর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পিছনে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আজিজুল আলম বেন্টুর বড় অবদান রয়েছে। ফলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি শক্তিশালী প্রার্থী।

রাজশাহী আওয়ামী লীগের প্রবীন, ত্যাগী ও তৃণমূলের অসহায় নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ আজিজুল আলম বেন্টুকে নগরের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান। ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আজিজুল আলম বেন্টুর বাবা-চাচাদের বড় অবদান রয়েছেন। তারা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের রাজনৈতিকসহ কর্মী ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ তিন যুগ থেকে আজিজুল আলম বেন্টু রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মতো যোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরেই বেন্টু রাজনীতিতে এসেছেন। তার সার্বিক সহযোগিতায় খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে আজ রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। নগর আওয়ামী লীগের আগামী কমিটিতে বেন্টু সাধারণ সম্পাদক হলে দল আরও শক্তিশালী হবে’ বলে মনে করেন তৃণমূলের এই নেতা।

আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, ‘একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে বজায় রেখে রাজনীতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তৃণমূলের অসহায় ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের নূন্যতম চাওয়া পাওয়া ও দুঃখ্য-কষ্ট সমাধান করার চেষ্টা করি আমার নিজস্ব অবস্থান থেকে। এছাড়াও যেহেতু তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছি। তাই তৃণমূলের সমস্যা ও দুঃখ-কষ্ট বুঝি।’

তিনি বলেন, ‘পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য ছাড়াও গত তিনযুগ ধরে রাজনীতি করে আমি যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক তৈরি করে থাকি, নগর আওয়ামী লীগসহ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে থাকি- তবে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আস্থা আছে। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তারা যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেবেন।’

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। দলের এই শক্তিকে ধরে রাখতে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। তবে কোন দখলবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ বা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের পরিবারের কেউ আগামী কমিটিতে স্থান পাবে না’ বলেন দলের কেন্দ্রীয় এই নেতা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে