জলবায়ু সংকট যেভাবে বদলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
জলবায়ু সংকট যেভাবে বদলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি

জান্নাতুল তাজরী তৃষা : সময়ের আবর্তে পৃথিবীর সবকিছুই সদা পরিবর্তনশীল। শতবর্ষ পূর্বে মানুষের জীবন পদ্ধতি, সমাজ ব্যাবস্থা, সংস্কৃতি ঠিক যেমনটি ছিলো, বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করলে অনেকটা পরিবর্তন ও সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যবে। সমাজ ও মানব জীবনের অন্যান্য নিয়ামকের মত রাষ্ট্রব্যাবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ঠিক এমন পরিবর্তনশীলতা সদা লক্ষনীয়। এর প্রমাণ পাওয়ার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

গত শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে পৃথিবীর জীবাশ্ম বা অনবায়নযোগ্য সম্পদ। প্রায় দুই শতাব্দী ধরে বর্তমান উন্নত রাষ্ট্রসমূহে শিল্প উন্নয়নের মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে তেল, গ্যাস ও কয়লা। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উন্নয়নের প্রায় দুইশত বছরের এই ধারা বিশ্বের শিল্পন্নোত দেশগুলোকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সারা পৃথিবীতে, যা বর্তমানে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ফেলেছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ও ক্ষতির মুখে।

কয়লাভিত্তিক উৎপাদন কারখানা থেকে নির্গত কার্বন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে, যার ফলাফল আর্কটিকের বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি। পৃথিবী সুরক্ষাকারী ওজনস্তরেও ধরেছে ফাঁটল। ফলে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টির পাশাপাশি উষ্ণতাও বৃদ্ধি করছে। এ সবকিছুর ফলাফল হিসেবে সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলো পড়েছে ব্যাপক ঝুঁকির মুখে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে অনেক দেশের জমি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং বর্তমান উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেলে মালদ্বীপ সহ আরো কিছু দ্বীপরাষ্ট্রের অধিকাংশ থেকে প্রায় সম্পূর্ণ অঞ্চল সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বিগত শতাব্দীতে তেল, গ্যাস অবরোধ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট ছিলো। কোনো দেশের তেল সম্পদ থাকা মানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার মর্যাদা হবে উপরে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্তভাবে এসব জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক এখন বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট। এর ফলে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ধারায়ও এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতিতে দেশসমূহ কোনো ব্যবসায়িক বা উন্নয়নমূলক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তির বিষয়বস্তুতে পরিবেশগত দিকের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সবোর্চ্চ সংস্থা “ইন্টার গভার্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ” (আইপিসিসি)। তাই এখন রাষ্ট্রগুলোর মাঝে কূটনৈতিক, ব্যবসায়িক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যেকোনো ধরণের সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্বক প্রভাব বিবেচনায় রাষ্ট্রসমূহ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নসহ দূষণ রোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে প্রবেশ করেছে। তবে সমস্যা হলো অধিকাংশ চুক্তিতেই সকল রাষ্ট্র একমত হতে পারেনি। চুক্তিবদ্ধ হলেও চুক্তির অঙ্গীকারসমূহ অনেকাংশ রাষ্ট্র পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রগুলোর মাঝে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মনোমালিন্য।

উদাহরণ হিসেবে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কথা বলা যেতে পারে। প্রায় সকল রাষ্ট্র এই চুক্তিতে সম্মতি দিলেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলো। কারণ তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের “নৃতাত্ত্বিক কারণ”(Anthropogenic factors) গুলোতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি বলেছিলেন আমেরিকান শ্রমিক ও খনিজকর্মীদের তিনি ভালোবাসেন। তাই তিনি এমন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চান না যেখানে আমেরিকার স্বার্থে আঘাত আসবে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া ঐ চুক্তির ভবিষ্যতকে অনেকাংশে অনিশ্চিত করে তুলেছিল। কেনোনা বিশ্বে প্রধান তিনটি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি। তবে আশার কথা হচ্ছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানত দুই ধরণের কর্মক কাজ করে। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় কর্মক (State actors), এবং দ্বিতীয়ত, অরাষ্ট্রীয় কর্মক (Non-state actors)। এখানে রাষ্ট্রীয় কর্মক হলো সরাসরি রাষ্ট্র এবং অরাষ্ট্রীয় কর্মকগুলো হলো তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী বড় বড় ব্যবসায়ী কর্পোরেশন ও কোম্পানি সমূহ। সারা পৃথিবী জুড়ে বৃহৎ কর্পোরেশনগুলো তাদের কলকরখানা স্থাপন করে উৎপাদন কার্য চালিয়ে যাচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নে যথেষ্ট অবদান রাখছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্র সমূহের সাথে বৃহৎ কর্পোরেশনগুলোর স্বদিচ্ছাও অত্যন্ত জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনে জড়িত কোনো কর্মককে বাদ দিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন জনিত সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

যদিও এই সকল ব্যবসায়ী কোম্পানিসহ পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্র নেতাগণ পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন, তথাপি প্রায়ই কিছু বিপরীত ঘটনা ঘটতেও দেখা যায়। যেমন কানাডার উদারপন্থি নেতা জাস্টিন ট্রুডোর কথাই বলা যেতে পারে। সম্প্রতি কাডানা সরকার ৩.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে কিন্ডার মরগ্যান কর্পোরেশনের ট্রান্স মাউন্টেইন পাইপলাইন ক্রয় করেছে, যার মাধ্যমে আলবার্টা থেকে প্যাসিফিক পোর্ট দিয়ে তেলবালি (Oil sand) রপ্তানি করা হবে। অথচ অন্য যেকোনো প্রকার তেলের তুলনায় তেলবালি যে অনেক বেশি পরমাণে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে এটা অজানা কোনো বিজ্ঞান নয়। বলা বাহুল্য, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণেই কানাডা সরকারকে এমনটি করতে হয়েছে।

মূলত বিশ্ব নেতাদের ঐক্যমতের অভাবেই জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে শক্ত নিয়ম নীতি নির্দিষ্টকরণের পরও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠছে না। এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের মনোভাব বিশ্লেষণ করলেই ব্যাপারটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

বর্তমানে বৈশ্বিক তাপমাত্রা যে অবস্থানে রয়েছে সেটা বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পায়ানের ফলাফল। এ কারণে চীন, ভারত ও আরো কিছু উন্নয়নশীল দেশ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সব ধরণের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে পশ্চিমা বিশ্বকে এবং তাদেরকে কার্বন নিঃসরণও কমাতে হবে। কেনোনা বর্তমান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতির প্রায় সম্পূর্ণ দায়ভার পশ্চিমা বিশ্বের উপরেই বর্তায়।

অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনো সম্পূর্ণরূপে “সবুজ অর্থনীতি” (Green Economy) গড়ে তোলার মত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। এসব দেশের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধাহীন জীবনযাপন করছে। আর এইসব দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬০ শতাংশই কয়লা ভিত্তিক পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, যা প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করছে।

বোঝাই যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ বা রোধ সংক্রান্ত কূটনীতি কতটা জটিল পরিস্থির মুখে পড়েছে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই রেষারেষির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো। কারণ রাষ্ট্রের মত বায়ুমন্ডল দূষণের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। এক দেশের উৎপন্ন কার্বন পুরো বায়ুমন্ডলকেই উত্তপ্ত করতে পারে, যার প্রভাব পুরো বিশ্বেই পড়বে। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর সেই প্রভাব মোকাবেলার সক্ষমতা থাকলেও দরিদ্র দেশগুলোর তা নেই। ফলে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা।

জাতিসংঘের ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৭ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিজের দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৮ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে এমন মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে কমপক্ষে ১৪৩ মিলিয়নে। রাষ্ট্রগুলো কি ভবিষ্যতে এত সংখ্যক জলবায়ু অভিবাসীর চাপ নিতে প্রস্তুত? এ প্রশ্নের উত্তর কারো অজানা হওয়ার কথা নয়। অধিকন্তু, আমরা জানি অধিকাংশ জলবায়ু অভিবাসীদের আশ্রয় মিলছে উন্নত দেশে নয়, বরং উন্নয়নশীল দেশে (৮৫ শতাংশের অধিক)। উন্নত দেশগুলোর অভিবাসী বা উদ্বাস্তুদের প্রতি এমন বিরূপ মনোভাব অদূর ভবিষ্যতে খুব ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

একাবিংশ শতকের শুরু থেকেই আফ্রিকান দেশ মিশর রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে গম আমদানি করত। মিশরের আমদানিকৃত গমের প্রায় ৭০ শতাংশই আসত রাশিয়া থেকে। কিন্তু ২০১০ সালের দিকে হঠাৎ খরা ও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রাশিয়ার উৎপাদন কমে যায় এবং দেশটি গম রপ্তানিও বন্ধ করে দেয়। ফলে মিশরে খাদ্যাভাবে শুরু হয় অস্থিরতা ও দাঙ্গা, যা শেষ পর্যন্ত হোসনি মোবারকের পতনের পথকে প্রশস্ত করেছিলো। এ ঘটনা থেকেই অনুধাবন করা যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে।

শুধু খাদ্যশষ্যই নয় সম্প্রতিকালে বিশুদ্ধ পানির অভাবেও বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। ১৯৯০’ এর দশকে দক্ষিণ আমেরিকান দেশ বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা ও তাঞ্জানিয়ায় পানির অভাবে দাঙ্গা হয়েছিলো। এছাড়া অতি সাম্প্রতিকালের নীল নদ নিয়ে ইথিওপিয়া, মিশর ও সুদানের মাঝের শীতল সম্পর্কের কথা বিশ্ববাসীর কাছে অজানা নয়। অর্থ্যাৎ, জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধরণ যে বদলে যাচ্ছে সেটা সম্প্রতিকালের আন্তর্জাতিক ঘটনাসমূহ বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়।

স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রগুলো সামরিক শক্তি বা হার্ড পাওয়ারের তুলনায় ব্যবসায়, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি তথা সফট পাওয়ারের দিকেই বেশি ঝুঁকেছে। আর জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষেত্রে, সফট পাওয়ারের ব্যবসায় ও অর্থনীতি শাখায় নতুন সংযোজিত হয়েছে “পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি” (Clean Energy)।

ক্রয়ক্ষমতায় বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে থাকা চীন পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি উৎপাদনে পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছে। বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি সোলার ফটোভোল্টাইক প্যানেল, অর্ধেকের বেশি ইলেক্ট্রিক যানবাহন এবং এক তৃতীয়াংশ বায়ু শক্তি উৎপাদন করে চীন। এ বিষয়গুলো বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অন্যান্য ধনী দেশগুলোর নজরে এসেছে অনেক আগেই। তাই চলমান রাজনৈতিক বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজনের (Adaptation) পাশাপাশি সক্ষমতা তৈরিতে রাষ্ট্রগুলো নবায়নযোগ্য শক্তি ভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। অর্থ্যাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা প্রদান করেছে।

চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এবং তাদের পক্ষে-বিপক্ষে মিত্র ও অক্ষ রাষ্ট্রসমূহ ঐতিহাসিক কাল থেকেই দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এমন ঘাত প্রতিঘাতের মাধ্যমেই নির্ধারণ হয়ে আসছে রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। আধুনিক রাজনৈতিক বিশ্বে দেশগুলোর মাঝে স্বার্থ বা সম্পর্কের পরিবর্তন হয়নি, বরং সময়ের আবর্তে স্বার্থ ও সম্পর্কের উপাদানগুলোয় এসেছে পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনেরই এক বিরাট অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে “জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতি” (Climate Change Diplomacy), যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।

লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ইমেইল: [email protected]

সূত্র : দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে