ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় তিন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ২০-০৪-২০২১, সময়: ১২:৫৩ |
Share This

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ ২০২১ সালে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী এশীয় অঞ্চলের ৩০০ তরুণের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বছর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনজন বাংলাদেশি তরুণ। শেহজাদ নূর তাওস প্রিয়, মোতাসিম বীর রহমান এবং মীর সাকিব, এই তিনজন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা, “ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া ২০২১” তালিকার এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি বিভাগে স্থান পেয়েছেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) ফোর্বস তার ষষ্ঠ বার্ষিক ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ তালিকা ঘোষণা করে।

শেহজাদ নূর তাওস প্রিয় (২৪) এবং মোতাসিম বীর রহমান (২৬) তাদের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই ভিত্তিক উদ্যোগ ‘গেজ’ এর জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।

সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক এআই স্টার্টআপ গেজ অনলাইন লেনদেনের জন্য ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি সরবরাহ করে।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এআই স্টার্টআপটি ঘর্ষণহীন অনলাইন চেকআউট তৈরি করার দাবি করে।

গেজের ফেসবুক পেইজের তথ্য অনুসারে, তারা এপিআই ডেভেলপারদের জন্য একটি পাসওয়ার্ডহীন সাইন বা গেজপাস তৈরী করে যা মূলত যেকোন ওয়েবক্যাম বা বায়োমেট্রিক সেন্সরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সংস্থাটি তহবিল হিসাবে ১০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে এবং এর গ্রাহকদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত। এর আগে এটি ২০২০ সালে ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ’ এবং ২০১৯ সালে সেরা স্টার্টআপের জন্য বাংলাদেশ বিজনেস ইনোভেশন পুরষ্কার জিতে নেয়।

গেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শেহজাদ নূর তাওস প্রিয় মাত্র ২১ বছর বয়সেই আইবিএম রিসার্চের কাছে তার প্রথম উদ্যোগের পেটেন্ট (স্বত্ব) দাবি করেন। অন্যদিকে এর অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মোতাসিম বীর রহমান মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘নগরবালক’ তৈরী করেন।

অন্যদিকে, মীর সাকিব তার স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাকের জন্য ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

মূলত তথ্য-উপাত্ত বা ডেটা নিয়ে কাজকারবার করে ক্র্যামস্ট্যাক। এটি একটি বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য খোঁজা, বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করতে পারে।

ক্র্যামস্ট্যাকের ধারণার পেছনে রয়েছে গুগল সার্চের মত এমন একটি অনুসন্ধানমূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যা ব্যবহারকারীদের ব্যবসায়িক বিভিন্ন ডেটার উৎস খুঁজতে সহায়তা করবে। সাধারণ চোখে যেসব তথ্যকে গুরুত্বহীন মনে হয় ক্র্যামস্ট্যাক সেটিও বিশ্লেষণ করে অর্থবোধক ও কার্যকর করে তুলতে পারে।

বর্তমানে ক্র্যামস্ট্যাকের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, অর্থ, উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা এবং খুচরা খাত; বিসিজি, ইউএনডিপি এবং ন্যাশনাল ব্যাংকও অন্তর্ভুক্ত। মহামারী চলাকালীন করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সরকারী ডেটা সরবরাহ করেছে। নেদারল্যান্ডসের রকস্টার্ট, টেলিনোরের গ্রামীণফোন এবং অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তারাও ১০ লাখ ডলারের ওপর তহবিল সংগ্রহ করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
উপরে