এক পা নেই, তবুও অদম্য সাজ্জাদ

প্রকাশিত: ১০-০৭-২০২০, সময়: ১৬:২৪ |
Share This

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : সাজ্জাদ হাসান রনি একটি পা নেই। প্রতিদিন এভাবেই হেটে নিজের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। একটি মাত্র পা দিয়ে তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া ছেলেটি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী জীবনকে হার মানিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকিয়ে রেখেছে নিজেকে। প্রতিবন্ধী হলেও বাদ যায়নি খেলাধুলা থেকে। প্রতিদিন বাড়ির আঙ্গিনায় বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে খেলাধুলা করেন।

সাজ্জাদ হাসান রনির বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবু জাফর। মা-বাবাসহ তিন ভাই তারা। বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। একটি টিনের ঘরের মধ্যে বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘদিন প্রতিবন্ধী ভাতা না পাওয়ার খবর শুনে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির নিজ প্রচেষ্টায় ওই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ভাতার ব্যবস্থা করে দেন।

প্রতিবন্ধী সাজ্জাদ হাসান রনির বাবা আবু জাফর বলেন, ছোটবেলা থেকেই সাজ্জাদ হাসান রনি লেখাপড়ায় খেলাধুলায় আগ্রহী ছিল। তবে সে যখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়েন তখন চান্দিনায় ফুটবল খেলায় তার একটি দূর্ঘটনা হয়। সেই থেকে দীর্ঘদিন সে পা নিয়ে নানা জটিলতার রোগে ভুগেন। এক সময়ে তার এক পা কেটে ফেলা হয়। সেই থেকে সাজ্জাদ হাসান রনি আজও প্রতিবন্ধী হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে আছে।

সাজ্জাদ হাসান রনি বলেন, বৃষ্টি হলে স্কুলে যেতে আমার খুব কষ্ট হয়। এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে যাওয়ায় শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমার ইচ্ছা আমি একজন জাতীয় খেলোয়ার হবো। তবে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালো খেলোয়ার হতে পারব।

এসময় তার চাচা ডা: আবু ইউসুফ বলেন, একটি দূর্ঘটনার কারণে সে আজ প্রতিবন্ধী। তার ভাতার কার্ড করার জন্য আমি জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। কচুয়া উপজেলা চেয়াম্যান শাহজাহান শিশির ছেলেটির কথা শুনে নিজ প্রচেষ্টায় তাকে একটি ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। তবে তার স্বপ্ন সে একজন প্রতিবন্ধী ভালো খেলোয়ার হবে। তাই সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
উপরে