বিমানকর্মীর শরীরে মিলল ৮ কেজি স্বর্ণ

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২; সময়: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ |
বিমানকর্মীর শরীরে মিলল ৮ কেজি স্বর্ণ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার। এই ক্যাটারিং সেন্টারে কাজ করা এক ব্যক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হবে, এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে অভিযানে যায় ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।

তবে বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে তাদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। কিন্তু কাস্টমসও নাছোড়বান্দা। অবশেষে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পরে বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিসের গেটের সামনে থেকেই আটক করা হয় স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিকে।

বুধবার (২৫ মে) রাতে স্বর্ণ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মো সানোয়ারুল কবির।

স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে কর্মরত মো. আব্দুল আজিজ আকন্দ। তার পরনের শার্ট, প্যান্টসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় আট কেজি স্বর্ণ।

উপ-কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির জানান, ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ ইউনিটের কাছে তথ্য ছিলো বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিসে কর্মরত এক ব্যক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ পাচার হবে।

সেই তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ১টার দিকে বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে প্রবেশ করতেই বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। দুটি গেটের একটি দিয়েও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিলো না কাস্টম কর্মকর্তাদের। এসময় বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারের লোকজন নানারকম টালবাহানা শুরু করেন।

এরপর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে প্রবেশ করেন কাস্টম কর্মকর্তারা। তখন ক্যাটারিং সেন্টার থেকে জানানো হয়, আব্দুল আজিজ দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটের দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন।

সানোয়ারুল কবির আরও জানান, এরপর দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমানের ক্যাটারিং অফিসের গেটের সামনে কাস্টমসের দুইজন ব্যক্তি নজরদারিতে থাকেন। অতঃপর রাত ৮টার দিকে সোনা চোরাচালানকারী আব্দুল আজিজ ক্যাটারিং অফিসের গেটের সামনে আসেন। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন।

এসময় আব্দুল আজিজকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো চারটি সোনার বারের বান্ডিল উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক ওজন প্রায় আট কেজি। উদ্ধার হওয়া এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা।

জানা যায়, এই স্বর্ণ দুবাইফেরত একটি বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। এরপর আব্দুল আজিজের মাধ্যমে এই স্বর্ণ পাচার হওয়ার কথা ছিলো।

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন এবং কাস্টমস আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান উপ-কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে