র‍্যাবের কারণে বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২; সময়: ৮:২৬ অপরাহ্ণ |
র‍্যাবের কারণে বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : র‍্যাব তৈরি করেছে আমেরিকা ও ব্রিটিশরা। র‍্যাবের কারণে বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না ও যারা সন্ত্রাসকে পছন্দ করে তারাই র‍্যাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুর ছয়হারা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসা, সৈয়দ মনোহর আলী অষ্টগ্রাম মহাবিদ্যালয়, শিরিলব চৌধুরী চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের র‌্যাব কাজে কর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভেরি ইফেশিয়েন্ট এবং তারা করাপ্ট নয়। এজন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের সন্ত্রাসী তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিজানের পর আর কোন সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র‌্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্টেট ডিপাটেমেন্ট সেটা শিকার করেছে।

কিছু লোক যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে তারাই র‌্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ র‌্যাবের তাদেও বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা তাদের জানাবো, হয়তো ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকে একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল’ এন্ড ফোর্স বিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেরও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিলো এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেজে সেটির তদন্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন দুটি ক্ষেত্রে র‌্যাব অন্যায় করেছিলো সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র‌্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও বৃটিশরা। তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস এন্ড এনগেজমেন্ট। কিভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সব কিছু শিখিয়েছে আমেরিকা। তাদের যদি রুলস অব এনগেজমেন্টে কোন কিছু দুর্বলতা থাকে, কোন উইকনেস থাকে, এই রুলস অব অ্যারেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান্ট রাইট ভায়োলেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে ট্রেনিং হবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি বিশেষের ওপর হঠাৎ করে এই যে স্যাংশনগুলো দেয়া হয়েছে সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফাইড না।

আব্দুল মোমেন জানান, ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ছয়শ’ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর একলক্ষ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই বাচাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান করি, বলি আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সৎ ঘটনা উদঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে