শক্তিশালী জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১; সময়: ১১:২৫ অপরাহ্ণ |
শক্তিশালী জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ গড়ে তোলার জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ শুভক্ষণে, আসুন আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাই। আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই।

আমাদের দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের এ ঐতিহাসিক বছরে বাংলাদেশ আমাদের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ রচনা ও উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরিতে যতটুকু করা সম্ভব তা করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অটল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৭৬ বছরে জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানব জাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে। তবে তিনি একথাও বলেন, আমরা বিশ্বের অনেক অংশের মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে দেখছি। ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম এবং মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর উৎপীড়ন- এমনই কিছু দৃষ্টান্ত।

এছাড়া যখন জলবায়ু পরিবর্তন, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ, জাতিগত এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মতো অনেক অমীমাংসিত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বিশ্ব একটি অদৃশ্য, মারাত্মক মহামারির সম্মুখীন হয়েছে যা গত দুই বছর ধরে লাখ মানুষের মৃত্যৃর সাথে জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ সনদের কালজয়ী মূল্যবোধ ‘আমাদের জনগণকে’ সেবা করার জন্য ‘আমাদের শক্তিকে একত্রিত করা’ আগের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে। তার (বঙ্গবন্ধুর) সুদৃঢ় ঘোষণা ‘বাঙালি জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে’ আমাদের জনগণের জন্য নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে কাজ করে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিশ্ব শান্তির জোরাল প্রবক্তা, আন্তর্জাতিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদানকারী এবং সর্বজনীন মূল্যবোধের বিশ্বস্ত সমর্থক হিসাবে জাতিসংঘের সাথে অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তির সংস্কৃতি’র অন্যতম অগ্রণী প্রবক্তা বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে একটি ব্র্যান্ড নাম হয়ে উঠেছে। এসডিজি বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, জনকেন্দ্রিক উন্নয়ন উদ্যোগ জোরদার এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল অর্জন সুস্বীকৃত।

কোভিড-১৯ মহামারির আক্রমণ সত্ত্বেও আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত হওয়ার সঠিক পথে আছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে