কুমিল্লার ঘটনা দুঃখজনক, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১; সময়: ১:৫৯ অপরাহ্ণ |
কুমিল্লার ঘটনা দুঃখজনক, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা দুঃখজনক। অন্যের ধর্মকে হেয় করতে গিয়ে, পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচার করবে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার রক্ত একাকার হয়ে মিলে গেছে। সব ধর্মের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাবনের অধিকার আছে। সম্প্রীতি নষ্ট করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষকে নির্যাতন করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি শ্রেণি এসব চায় না, বিশেষ করে খালেদা জিয়া ও তার দোসর জামায়াত। তাদের তো অন্তরে পেয়ারে পাকিস্তান। বাংলাদেশের ক্ষতি আর কেউ কখনো করতে পারবে না।
প্রত্যেক এলাকায় নেতাকর্মীদের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এই মাটিতে যাতে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।

এ সময় রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে তাগাদা দেন শেখ হাসিনা। বলেছেন, ভবিষ্যতে বিদেশে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলম দস্তগীর গাজী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আগামী বাণিজ্য মেলা এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এক্সিবিশন সেন্টারটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এই প্রকল্পে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এর অর্থায়ন করেছে। সিএসসিইসি ১৩০৩.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গাজুড়ে প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। চীন এই প্রকল্পে ৬২৫.৭০ কোটি টাকা দিয়েছে।

করিম বলেন, কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে। তিনি আরও জানান, আধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নিজস্ব পানি শোধনাগার, সিএটিভি কন্ট্রোল রুম, ইন্টারনেটের জন্য ওয়াইফাই সিস্টেম, একটি আধুনিক ঝরনা ও রিমোট-কন্ট্রোলড প্রবেশদ্বার রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে