সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১; সময়: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ |
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রেখে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমীয় বাণী প্রচার করে গেছেন।

তার আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী বিপুল সমাদৃত। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আবদুল হামিদ বলেন, ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও এ উপলক্ষ্যে ‘কঠিন চীবর দান’ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কঠিন চীবর দানকে বলা হয় দানশ্রেষ্ঠ।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সবার মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বৌদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। এ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার এর উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে বয়ে চলা এ সম্প্রীতি দেশের ঐতিহ্য।

সম্প্রীতির এই ধারা অব্যাহত রেখে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশে এর সংক্রমণ কমে আসলেও সংক্রমণের সম্ভাব্য পরবর্তী ঢেউ প্রতিরোধ করতে সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবে শামিল হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করে।
‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব সবার জন্য সুখ-শান্তি আর সাফল্য বয়ে আনুক তিনি এ কামনা করেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে