পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ায় হাইকোর্টের রুল জারি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১; সময়: ৯:০০ অপরাহ্ণ |
পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ায় হাইকোর্টের রুল জারি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়ায় হাইকোর্টের রুল জারি, এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে তলব করেছে হাইকোর্ট।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একাধিক জায়গায় শুধু ‘শেখ মুজিব’ লেখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে, কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধুকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এভাবেই বিকৃত তথ্য ও খণ্ডিত তথ্য রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে। এসব দায়সারা লেখা কেনো সরানো হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

জাতীয় সংগীতের মূল লেখা বিকৃত করা হয়েছে। রয়েছে বানান ভুল। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ মেহেরপুরে হলেও বইয়ে লেখা হয়েছে কুষ্টিয়ার মেহেরপুর জেলায়। স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তির অবদানে, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এসব বইয়ে। মূলত বঙ্গবন্ধু ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও ইতিহ্যের বইয়ে এইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত তিনি ছিলেন তৎকালীন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর পদবী উল্লেখ না করে তাদের আওয়ামী লীগের নেতা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধে হঠাৎ আবির্ভাব হওয়া নেতা লেখা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির একটি বইয়ে করাচি কারাগার থেকে মুক্ত হন লেখা হয়েছে। অথচ তিনি রাওয়াপিন্ডির মিনাওয়ালি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যের সময়কে বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস লেখা হয়েছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির শাস্তি চেয়ে ও বইয়ের ভুল তথ্য বাতিল চেয়ে রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের এক অভিভাবক ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও এক সদস্যকে ১০ নভেম্বর তলব করেছেন।

রিটকারি আইনজীবী আলী মুজতবা খান বলেন, পাঠ্যপুস্তকে এই ধরনের দায়িত্বহীন ও দায়সারা প্রকাশনা কেন অবৈধ নয় এই মর্মে রুল দিয়েছি। এসব ভুল সংশোধনের জন্য কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে না এই মর্মেও রুল দেয়া হয়েছে।’

রিটকারি অভিভাবক আলমগীর হোসেন জানান, পাঠ্যপুস্তকের ভুলগুলো রিটে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পৃষ্ঠা নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ধরনের ভুলকে দুঃখজনক বলেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনে শিক্ষা সচিবকেও তলব করা হবে বলেও জানায় আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিবসহ ৭ বিবাদীকে রিটের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে