জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১; সময়: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন জয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না রাখলেও ছাত্রলীগ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা উপকরণ ও করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে।

রাজনীতিতে অতটা সম্পৃক্ত না হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে জয়ের বড় ধরনের ভূমিকার কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের ভাষ্য, নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ধারণা জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছিল। আর তা তরুণ প্রজন্মের মন কেড়ে নেয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন জয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো।

নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে। জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে, নানা-মায়ের দল আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক সদস্য হয়ে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে।

বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ। তার হাত ধরেই সিআরআই আয়োজন করেছে একাধিক লেটস টক, পলিসি ক্যাফের মতো আয়োজন। লেটস টক অনুষ্ঠানে তরুণদের চাওয়া-পাওয়া ও জানা-অজানা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন সময় লেটস টক অনুষ্ঠানে দেশ গঠনে তরুণদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ শোনেন তিনি।

সরকারের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধনের লক্ষ্যে সিআরআইর আরেকটি কার্যক্রম পলিসি ক্যাফে। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তরুণদের মতামত নিয়ে আলোচনা করা হয় এই অনুষ্ঠানে। এই দুটি অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা ও প্রাথমিক ভাবনা জয়ের।

তরুণদের নিয়ে সজীব ওয়াজেদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হল ইয়াং বাংলা। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বর্তমান সময়ে দেশে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। দেশ গঠনে তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে ইয়াং বাংলা দিয়ে আসছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কার পেয়ে এগিয়ে যাওয়া তরুণদের অনেক সংগঠন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছে।

ইয়াং বাংলার মাধ্যমে সর্বপ্রথম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ লাভ করে দেশের তরুণরা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এই ইয়াং বাংলা প্রতিবছর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করছে জয় বাংলা কনসার্ট।

সজীব ওয়াজেদ পরিচালিত সিআরআইর মাধ্যমে শিশুদের জন্য গ্রাফিক নভেল মুজিব প্রকাশিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে। এ ছাড়াও ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামা বা বঙ্গবন্ধুর উক্তি ও জীবনী নিয়ে আরও বেশ কিছু কাজ করে যাচ্ছে সিআরআই।

  • 242
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে