দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তে রেকর্ড

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২১; সময়: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ |
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তে রেকর্ড

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীকে ক্রমাগত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। গত একদিনে ঢাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১০৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বর্তমানে সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২২ জন রোগী। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪১৯ জন। অন্যান্য বিভাগে বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৭৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ১ হাজার ১৪৯ জন রোগী। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন জন; যাদের মধ্যে এক জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আরেকজন একটি সংবাদমাধ্যমের কর্মী।

শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন পুরান ঢাকার এসএমসি ও মিটফোর্ড হাসপাতালে। এছাড়াও ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৩ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জন, পিলখানার বিজিবি হাসপাতালে ১ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে, কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৪৪ জন, খিলগাঁওয়ের খিদমা হাসপাতালে ২৭ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, মারা গিয়েছিলেন ১৭৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ঢাকার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় ডেঙ্গুর উপদ্রবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যাদের অনেকেই হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন। করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার পরামর্শ দেন রোবেদ আমিন।

এদিকে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসূচি জোরদার করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল, জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। রাজধানীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল, জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে