কেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটক করে থানায় দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়?

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২১; সময়: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ |
কেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটক করে থানায় দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্র নেওয়ার অভিযোগে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর থানায় দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিব (পিএস) মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষ থেকে রোজিনা ইসলামকে আটক করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্রের ছবি তোলা ও সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের দাবি, তিনি কোনো নথিপত্র নেননি কিংবা নথিপত্রের ছবি তোলেননি। সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সচিবের পিএস তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে পুলিশ ডাকে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সহকর্মী ও সচিবালয় বিটে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাড়ে তিনটার দিকে রোজিনা ইসলাম সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার পিএসের রুমে যান। এরপর পিএস সাইফুল একজন পুলিশ সদস্য এবং স্টাফদের দিয়ে তাকে হেনস্তা করে তাকে আটকে রাখেন। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিক এবং ডিআরইউ, ডিইউজে ও প্রেসক্লাব নেতারা সেখানে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের সঙ্গে কয়েক দফা সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের রমনা বিভাগ এবং সচিবালয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ধরাধরি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।

রাত ৯টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, সচিবের পিএসের রুমে ঢুকে মোবাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল-নথির ছবি তোলেন তিনি। আর কিছু কাগজপত্র তিনি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একজন অতিরিক্ত সচিব, পুলিশের একজন সদস্য দেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন এটা নিয়ে যেতে পারেন না। তখন পুলিশকে জানানোর পর মহিলা পুলিশ এসেছে। এখন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ থেকে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান। এরআগে কক্ষে আটক থাকা অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রোজিনা ইসলাম বলেন, দুপুরে সচিবের সঙ্গে দেখা করতে আসলে সচিবের একান্ত সচিব সাইফুল ইসলাম তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ দপ্তর থেকে কোনো ধরণের নথি আমি নেইনি। এরপর পুলিশ ডেকে এনে আমাকে কক্ষে আটক করে রাখা হয়। এসময় এক পুলিশ সদস্য ও স্টাফরা আমাকে নাজেহাল করেছে।

  • 158
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে