‘একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়’

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১; সময়: ২:১০ অপরাহ্ণ |
‘একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি ঈদে ঘরমুখো লোকজনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘প্রত্যেকে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ করুন। একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়?’

তিনি সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন।

পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে রোববার তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট এসেছে যেটা আরও বেশি মারাত্মক। এতে যারা সংক্রমিত হয় তারা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। যে কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা পার্শ্ববর্তী দেশে এ ভাইরাস আক্রমণ করেছে। আর প্রতিবেশী আক্রান্ত হলে তা থেকে দূরে থাকা কঠিন হয়ে যায়। তাই সবাইকে বলবো, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ করুন। কেননা বাড়ি যাওয়ার পথে কে ভাইরাস বহন করছেন, কে করছেন না, তা আমরা কেউ জানি না। কাজেই বাড়ি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বলবো, বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা যাওয়ার পথে আপনি ভাইরাস বহন করে নিয়ে যেতে পারেন আপনার পরিবারের কাছে। যাতে করে আপনার মা-বাবা ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজে সুরক্ষিত তেকে অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।’

করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মহান স্রষ্টার প্রতি দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘রমজান মাস, আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন এই করোনাভাইরাস থেকে আমাদের দেশ মুক্তি পায়, দেশের মানুষ যেন মুক্তি পায় আর যেন প্রাণহানি না হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বব্যাপী এই করোনার জন্য কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে রোজ কত লোক মারা যাচ্ছে এবং এই প্রতিবেশী দেশে যখন হয় স্বাভাবিকভাবে তখন আমাদের দেশে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদেরকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সেভাবে চলতে হবে, যেন আপনারা সবাই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। আমরা শুধু ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে না প্রতিটি বিভাগ এবং জেলায়ও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, উন্নত জীবন পায়, প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, চেষ্টা করে যাবো।’

প্লট পাওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের হাতে আপনাদের প্রাপ্য তুলে দিতে পেরেছি এটা আমার জন্য সত্যি আনন্দের। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যেটুকু পারি যেভাবে পারি মানুষের জন্য করার সেটা আমরা করে দেব। প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে আলো জ্বলবে।

কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে লেখাপড়া শিখবে। সেই লেখাপড়া শুধু কিতাবি পড়া না সঙ্গে সঙ্গে ভোকেশনাল ট্রেনিং নেবে কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। শুধু বিএ এমএ পাশ করলে হবেনা চাকরির পেছনে ছুটলে হবে না নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজেরা চাকরি দিতে পারে সেভাবে নিজেদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা সেভাবেই সমাজকে গড়ে তুলতে চাই।’

  • 9
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে