ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১; সময়: ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ |
ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে ফেরিঘাটে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মূলত জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফেরিঘাট মাওয়া ও পাটুরিয়ায় বিজিবি মোতায়েন হয়েছে।

বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান শনিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। রোববার আরও বিজিবি মোতায়েন হবে।

এদিকে, শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে গৌন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আরিচা বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রীদের চাপ আরও বেড়ে গেছে। বর্তমানে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে, দিনের বেলা ফেরি বন্ধের সরকারি ঘোষণার পর শনিবার ভোর সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময়ে পারাপারের অপেক্ষায় ৪৮টি ছোট যান আটকা পড়ে শিমুলিয়া ঘাটে। পণ্যবাহী বেশ কিছু ট্রাকও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।

ফেরি বন্ধের ঘোষণার পরও লাখো মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাটে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বোলেন্স নিয়ে কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ।

পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেরি থেকে নামিয়ে আনলেও লোকজনের স্রোত ঠেকাতে পারেনি। মুহূর্তেই ফেরি ভরে যায় হাজারো মানুষে। ফেরিটি টইটুম্বুর হবার পরও যাত্রীরা ফেরিতে উঠছিল। পরে ফেরিটি ছেড়ে মাঝ পদ্মায় নোঙ্গর করে রাখা হয়। পরবর্তীতে ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসলে জনতা ফেরি থেকে নামেনি। পরে ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটে এদের পার করে দেয়।

এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চাপ আরও বাড়তে থাকে। ভোর রাত থেকে ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ, নারী ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড রোদে অপেক্ষা করছিল। এ সময় কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মানবিক কারণে ২টি ফেরি দিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে কয়েক হাজার যাত্রী পার করা হয়।

এ সময় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় আর কোনো ফেরি ছাড়া হবে না। বেলা ১টার দিকে ঘাট আবার জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আস্তে আস্তে আবার জনতার চাপ বাড়তে থাকে। পরে বিকাল ৫টা থেকে রাতের পাশাপাশি দিনেও ৫টি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাও ৫টি ফেরি দিয়ে জরুরি যানবাহন পারাপার করা হবে।

  • 90
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে