অপরাধী শনাক্তে র‍্যাবে নতুন প্রযুক্তি

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২১; সময়: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ |
অপরাধী শনাক্তে র‍্যাবে নতুন প্রযুক্তি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দ্রুততম সময়ে অপরাধীর পরিচয় শনাক্ত করতে অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম নামের একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তবে এই সিস্টেম অপরাধী শনাক্তকরণ বাদেও বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারণ করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

র‍্যাবের কমিউনিকেশন্স ও এমআইএস উইংয়ের পরিচালক (সিস্টেমের ডেভলাপার) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যে অপরাধী শনাক্ত করার জন্য এই প্রযুক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করবে। মূলত বহনযোগ্য একটি ডিভাইসের মাধ্যমে যে কোন জায়গায় থাকা কোনো ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা জন্ম তারিখের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হবে এই সিস্টেমের মাধ্যমে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, আগে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে র‍্যাবের একটি অফিসে নিয়ে গিয়ে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হতো। কিন্তু এই ডিভাইসের মাধ্যমে যে কোন স্পটে একজন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের কাজ করা সম্ভব।

বর্তমানে এই সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেইজ, অপরাধীদের ডেটাবেইজ এবং কারাগারের ডেটাবেইজে প্রবেশ করা সম্ভব বলে জানান কমান্ডার মঈন। র‍্যাবের এই কর্মকর্তা মনে করেন, শীঘ্রই সরকারি নির্দেশনা ক্রমে পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও পুলিশের কাছে থাকা অপরাধীদের ডেটাবেইজেও এই সিস্টেমের মাধ্যমে প্রবেশ করা সম্ভব হবে।

র‍্যাবের এই নতুন ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত থাকা অপরাধীকে শনাক্ত করার পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা ব্যক্তি বা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান কমান্ডার মঈন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গাজীপুরে একজন প্রকৌশলীকে হত্যা করা হয়েছিল, যার মরদেহ পাওয়া যায় সাভারে। ওই মরদেহ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা এই ডিভাইসটি ব্যবহার করি।

মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর সাধারণত মরদেহের হাতের আঙ্গুলের ছাপ অক্ষত থাকে না এবং তখন ওই মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মরদেহের পরিচয় শনাক্তের ক্ষেত্রে এই ডিভাইসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, কিছুদিন আগে কুমিল্লায় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তার নিজের পরিচয় বলতে পারছিলেন না। পরে এই ডিভাইসের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

এই ডিভাইসের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী র‍্যাবের কর্মকর্তারা। র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন অনেক সময় অপরাধীরা মিথ্যা পরিচয় দেয়। সে রকম ক্ষেত্রে এই ডিভাইস ও সিস্টেমের মাধ্যমে অপরাধীর আসল পরিচয় জানা সম্ভব হবে। এছাড়াও সন্দেহভাজন অপরাধী বা ব্যক্তির তথ্য এই সিস্টেমে এন্ট্রি করে রাখা যাবে।

  • 117
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে