গবেষণায় এশিয়ার মধ্যে পিছিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২১; সময়: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ |
গবেষণায় এশিয়ার মধ্যে পিছিয়ে বাংলাদেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশি গবেষকেরা ২০২০ সালে ১৬০ টি পিয়ার-রিভিউড এবং ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরযুক্ত জার্নালে মোট ৮ হাজার ১৪০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে। বিগত তিন বছর গবেষণা পত্র প্রকাশের সংখ্যা বাড়লেও ভারত ও পাকিস্তান থেকে এখনও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশি গবেষকরা।

আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশের দিক থেকে দক্ষিল এশিয়ার তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। গত বছর ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরযুক্ত জার্নালে বাংলাদেশি গবেষকদের আট হাজারের বেশি গবেষণা প্রকাশের পর বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। স্কোপাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ নামের অনলাইন সাময়িকী তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। স্কোপাস বৈজ্ঞানিক জার্নাল, বই এবং কনফারেন্স সম্পর্কিত সাইটেশনের তথ্য নিয়ে কাজ করে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে বাংলাদেশি গবেষকেরা ২০২০ সালে ১৬০টি পিয়ার-রিভিউড এবং ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরযুক্ত জার্নালে মোট ৮ হাজার ১৪০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৬৩।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালে গবেষকেরা ৫ হাজার ২৩৪টি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। বিগত তিন বছরে গবেষণা পত্র প্রকাশের সংখ্যা বাড়লেও ভারত ও পাকিস্তানের থেকে এখনও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশি গবেষকেরা। ২০২০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের গবেষকেরা যথাক্রমে এক লাখ ৯৯ হাজার এবং ২৮ হাজারের বেশি গবেষনা নথি প্রকাশ করেছে।

গবেষণা প্রবন্ধ ছাড়াও কনফারেন্স পেপার, রিভিউ, বইয়ের অধ্যায়, প্ত্র, ত্রুটি, নোট, সম্পাদকীয়, ডেটা পেপার, বই, ছোট জরিপ ইত্যাদি নথিও বিবেচনায় আনা হয়েছে। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর দ্বারা মূলত কোনো জার্নালের মান যাচাই করা হয়। বিগত বছরগুলোতে জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে সাইটেশনের গড় সংখ্যার ভিত্তিতে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারিত হয়। একে জার্নাল ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরও বলা হয়। যেমন, কোনো জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যদি তিন হয়; এর অর্থ সে বছর জার্নালের আর্টিকেলগুলো গড়ে তিনবার রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

বাংলাদেশি গবেষকেরা যে আটটি জার্নালে সবথেকে বেশি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে তা হলো- প্লাস ওয়ান, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস, হেলিভন, আইইইই অ্যাকসেস, বিএমজে ওপেন, রেজাল্টস ইন ফিজিক্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এবং পলিউশন রিসার্চ। এরমধ্যে চারটি জার্নাল বাংলাদেশি।

রিসার্চিফাই নামের তথ্য পোর্টালের সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশ জার্নাল অব বোটানির ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ০.১৫। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বুলেটিন, বাংলাদেশ জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স এবং জার্নাল অব মেডিসিন বাংলাদেশের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যথাক্রমে ০.০৯, ০.১৭ এবং ০.১০।

স্কোপাসের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের শীর্ষ তিনটি ক্ষেত্র হল, মেডিসিন (২,১৭৩), ইঞ্জিনিয়ারিং (১,৮২৪) এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান (১৫৮১)। তবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর মেডিসিন সংক্রান্ত নথিপত্র ইঞ্জিনিয়ারিং কে ছাড়িয়ে গেছে।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭৬০ টি প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে শীর্ষ অবস্থানে আছে। আগের বছরের তুলনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবার ১০০টি বেশি গবেষণা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ৫১০টি প্রকাশনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে