‘তরুণদের বাচঁতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রয়োজন’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২০; সময়: ৮:৪০ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
‘তরুণদের বাচঁতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রয়োজন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের এক প্রতিনিধি দল (১১ নভেম্বর ২০২০) বেলা ১১.০০ ঘটিকায় সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা-০৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের সাথে সাক্ষাত করেন এবং সাক্ষাতকালে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দূর্বল দিক ও এর সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান।

তার এই আলোচনার সাথে কাজী ফিরোজ রশীদ, এমপি একমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন-বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা ও প্রদর্শনে তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে শিশু-কিশোর ও তরুণরা। সেই সাথে বর্তমানে তরুণরা আরো আকৃষ্ট হচ্ছে ই-সিগারেট বা এই ধরনের পণ্যের প্রতি। যা স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধনসহ তরুণদের ঠেলে দিচ্ছে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রতি। বিনষ্টর পথে তরুণ ও আগামী প্রজন্ম এবং দেশ হারাচ্ছে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। তাই তরুণসমাজকে রক্ষা করতে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন প্রয়োজন এবং ই-সিগারেট বা এধরনের পণ্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনসহ আইনের যেসকল দূর্বল দিক রয়েছে সেগুলোর সংশোধন করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আইনের এই দূর্বল দিকগুলো বাঁধা হিসেবে কাজ করছে।

এই সাংসদের সাথে সাক্ষাতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ রুবায়েত এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান। সাক্ষাতকালে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ক তথ্যপত্র ও প্রস্তবনাসমূহ হস্তান্তর করেন। প্রস্তাবনাসমূহ ছিল: ক) গণপরিবহন ও রেস্তোঁরাসমূহে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এসকল স্থানে স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা ; খ) বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা গ) ই-সিগারেটের মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করা; ঘ) বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ঙ) তামাক কোম্পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; এবং চ) সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি ৫০% থেকে ৯০% এ উন্নিতকরণ এবং প্লেইন প্যাকেজিং প্রবর্তনের জন্য সবধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্রমিত মোড়ক প্রচলন করা প্রভৃতি ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে