সাংসদ পুত্র ইরফান সেলিমের বাসায় টর্চার সেল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২০; সময়: ৯:১৭ অপরাহ্ণ |
সাংসদ পুত্র ইরফান সেলিমের বাসায় টর্চার সেল

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর চকবাজারের মদীনা আশিক টাওয়ারের ১৪ তলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। সেখানে এখন অভিযান চলছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর মদীনা আশিক টাওয়ারের ১৭তলার টর্চার সেলে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ওই রুম থেকে নির্যাতনে ব্যবহৃত দড়ি, হাতুড়ি, রড, মানুষের হাড়, নির্যাতনে ব্যবহৃত গামছা, নেটওয়ার্কিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ওয়াকিটকি, হাতকড়াসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। ইরফানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধারের পর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

অভিযানের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বেলা সাড়ে ১২টার সময় তারা অভিযুক্তের বাসা এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর তারা সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের দ্বিতীয় ছেলে ইরফান মোহাম্মদ সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

র‌্যাব জানিয়েছে, ইরফানের বাসা তল্লাশি করে বেশ কিছু অবৈধ জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে রয়েছে লাইসেন্সবিহীন একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫-৬ লিটার বিদেশি মদ এবং ৩৮ থেকে ৪০টি বিভিন্ন ধরণের ওয়াকিটকি।

র‌্যাব জানিয়েছে, সাধারণ নিরাপত্তা বাহিনী বা যেকোনো সুশৃঙ্খল বাহিনী এ ধরনের ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে চারশ পিস ইয়াবা এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মাদক রাখার জন্য আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থাৎ প্রত্যেকের মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ইরফান সেলিমের ভবনের পাশেই একটি টর্চার সেল পাওয়া গেছে জানিয়েছে র‌্যাবের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, সেখান থেকে হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধাণমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।

  • 229
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে