ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী ডা. মির্জা মাজহারুল আর নেই

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২০; সময়: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ |
খবর > জাতীয় / লিড
ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী ডা. মির্জা মাজহারুল আর নেই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর ৯ মাস ১০ দিন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল সূত্র। বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এই চিকিৎসক ও ভাষা সংগ্রামী বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বারডেম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অনারারি চিফ কনসালটেন্ট ছিলেন।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পান মির্জা মাজহারুল ইসলাম। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি তার জন্ম।

মির্জা মাজহারুল ইসলাম ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের জড়িত হন এর সূচনাপর্ব থেকেই। তিনি এ আন্দোলনের প্রথম দুটি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মানে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রায় প্রতিটি ঘটনায় মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এই কমিটিতে তিনি প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে এ পরিষদ সম্প্রসারিত হয়। নিজেকে ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী বলে দাবি করেন এ ভাষাসৈনিক।

১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর পুলিশের পামলার পর তিনি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় অসংখ্য আহত ভাষাকর্মীর অপারেশন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন আমতলার জনসভায়। গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ২২ ফেব্রুয়ারি।

মাজহারুল ইসলামের দাদা মির্জা মাহতাব উদ্দিন বেগ ব্রিটিশ সরকারের নমিনেটেড ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট এবং বাবা মির্জা হেলাল উদ্দিন ‘ডেভিড অ্যান্ড কোম্পানি’ ও ‘ল্যান্ডেল অ্যান্ড ক্লার্ক’ নামক দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মকতা ছিলেন। তৎকালীন পূর্ব বাংলার অর্থমন্ত্রী মির্জা নূরুল হুদা ছিলেন তার মামা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে