বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০; সময়: ১০:২৬ অপরাহ্ণ |
বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

শুধু মেডিক্যাল বর্জ্য নয়, সবধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানুষ সমাগম স্থানে যেমন বাসস্টেশন, নৌ-পরিবহন, বিমান বা যে কোনো স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এ কাজে যে সব সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা জানান। গণভবন হতে ভাচুর্য়াল পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষ হতে একনেক সংশ্লিষ্টরা সভায় অংশ নেন। সভায় নতুন তিনটি প্রকল্প ও একটি সংশোধিত আকারে অনুমোদন করা হয়। নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ এবং সংশোধিত প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দ মিলিয়ে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সভায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) প্রকল্প ১ম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নৌপথের বর্জ্য অপসারণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন নদীগুলো সংস্কার করতে হবে।

সভায় ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে প্লট ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে জমির শ্রেণিবিন্যাসও করা হবে। কোনটা খাস জমি, কোনটা বাড়ি, শিল্পকারখানার জমি এসব চিহ্নিত করা হবে।

তিনি বলেন, যেখানে সেখানে শিল্প করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আবাদি জমিতে শিল্প করা যাবে না। শিল্প এলাকায় এসে শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে। এজন্য আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় এসে শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন।

এ প্রকল্প বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং এসিল্যন্ড অফিসকে সমন্বয় করতে বলেছেন। সেই সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকেও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসতে বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে