জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা পার পেয়ে যেতে পারে ধর্ষিতা ছাত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০; সময়: ৭:৫২ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আসামিরা পার পেয়ে যেতে পারে ধর্ষিতা ছাত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ধর্ষণের মামলাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেয়ার চেষ্টা করছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীরা। এই অভিযোগ করে মামলার বাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেছেন, যারা এই অপচেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাটগ্রুপ খুলে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্তরা। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে আসেন। বলেন, ধর্ষনের বিষয়টি এখন অস্বীকার করলেও ঘটনার পর তা মীমাংসা করতে আসামিরাই সামাজিক মাধ্যমে একটি চ্যাট গ্রুপ খুলেছিলো।

মামলার বাদী ফাতেমা আক্তার আরও বলেন, একজন নির্যাতিতা এভাবে সামনে আসে না। যাদের দায়িত্ব ছিল আমাকে আড়ালে রাখা তারা আমাকে আড়ালে রাখেননি। যার প্রেক্ষিতে আমার এখানে আসা।

ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার কারণেই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে আসামি করা হয়েছে, বলেন মামলার বাদী। ফাতেমা আক্তার বলেন, ছাত্র লীগের পরিষদের কাছে এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি বিচারের জন্য গিয়েছিলাম। তখন এ ব্যাপারে সমস্যা সমাধান নামেএকটা গ্রুপ খোলা হয়। ওই গ্রুপে যারা ছিল তারাই এখন বলছে, এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক। তারা এটা কেন বলছে? এমন তারা বলতে পারে না। তারা যদি সত্যটা গোপন করে বা কোন কিছু লুকানোর চেষ্টা করে তবে তাদের ব্যাপারে আমি ব্যবস্থা নেব।

ধর্ষণের মামলাটিকে রাজনৈতিক মোড়ক দেয়ার চক্রান্ত করছে একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন ফাতেমা। ফাতেমা আক্তার জানান, আমি কোথাও ভিপি নূরকে ধর্ষক বলে উল্লেখ করিনি। একজন ধর্ষককে সে আশ্রয় দিয়েছে। আমি যখন নূরুর হক নূরের সাথে দেখা করতে যাই তিনি আমাকে বলেন যে, এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করোনা। তুমি যদি বাড়াবাড়ি করো তবে আমি আমার অনেক ভক্ত আছে তাদেরকে দিয়ে তোমাকে পতিতা রুপে প্রকাশ করবো।

এসময়, আসামিদের রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন মামলার বাদী। ফাতেমা আক্তার আরও বলেন, ভিপি নূরুল হক নূর একটা লাইভে বলেছে যে, টাকার বিনিময়ে আমি তার সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এটা করেছি। তিনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, টাকার বিনিময়ে আমি এটা করেছি তবে তিনি যেন এটা প্রমাণ করে দেন। আর তিনি যদি এটা প্রমাণ করতে না পারেন যে, টাকার বিনিময়ে মামলা করে ছাত্র ছাত্র অধিকার পরিষদকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছি, তাহলে আমি তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।

রাজনৈতিক প্ররোচনা কিংবা চাপে নয়, ধর্ষনের বিচার পেতেই মামলা করেছেন বলে আবারও জানান ফাতেমা আক্তার।

  • 57
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে