মাদক ব্যবসায়ী নারীকে পুলিশে দেয়ায় র্যাবের সোর্স খুন!
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাদক ব্যবসায়ী নারীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার খেসারত দিতে হলো প্রাণ দিয়ে। প্রতিশোধ নিতেই ওই নারীর প্রেমিক তিন সহযোগীকে নিয়ে খুন করে র্যাব এর সোর্স কাশেমকে। হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তালিকাভুক্ত ওই নারীর বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মাদক মামলা।
৬ই সেপ্টেম্বর রাত ১টা ১২ মিনিট। আগারগাঁও পরিকল্পনা কমিশনের সামনে রাস্তা। এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলে ধাওয়া। পরে, চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান ওই ব্যক্তি। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম কাশেম। তিনি র্যাব এর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
পরদিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন কাশেমের স্ত্রী। পরে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যা রহস্য। ১লা সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় গেপ্তার হন নূরজাহান বেগম। তার কথিত প্রেমিক জাহাঙ্গীরের ধারণা ছিলো সোর্স কাশেমই নূরজাহানকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। প্রতিশোধ নিতে তিন সহযোগীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে কাশেমকে মেরে ফেলার। হত্যাকারীরা কাশেমের পূর্ব পরিচিত থাকায় তার চলাচলের রাস্তা জানতো তারা।
ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, সিসিটিভি ছিলো বলে তাদেরকে ফাকার আশপাশ থেকে ও প্রধান আসামিকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। যে মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে এই চারজনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। যার কারণে কাশেমকে শিক্ষা দিতে গিয়ে তারা এলোপাতাড়ি স্ট্যাব করেছে।
পুলিশ বলছে, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী নূরজাহানের ছেলের নামেও রয়েছে মাদকের মামলা। মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ আরো বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে তারা জড়িত। রিমান্ডে আসলে বাকিটা জানা যাবে।