সিনহা হত্যা : ল্যাপটপ-হার্ডডিস্ক-পেনড্রাইভ উদ্ধার

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২০; সময়: ৮:০৮ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
সিনহা হত্যা : ল্যাপটপ-হার্ডডিস্ক-পেনড্রাইভ উদ্ধার

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার পর তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে আটক করে পুলিশ। এরপর সেখান থেকে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন ডিভাইস নেয় রামু থানা পুলিশ। সে সব র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের আদেশ বহাল রাখলো আদালত।

ডিভাইসগুলো নিজেদের কাছেই রাখার বিষয়ে পুলিশের করা আবেদনটি খারিজ করে আদালত। ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন।

এর আগে ১৯ আগস্ট মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রামু থানার হেফাজত থাকা ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯টি ডিভাইস র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের জন্য আদেশ দেন আদালত। যার বিপরীতে ওই আবেদন করেছিল রামু থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র জানান, রামু থানায় থাকা নীলিমা রিসোর্ট থেকে পুলিশের জব্দ করা ডিভাইসসহ সকল জিনিসপত্র র‌্যাবের হেফাজতে নেয়ার আদেশ বহাল রাখা হয়।

এর আগে শিপ্রা দেবনাথ জানান, তার রুম থেকে পুলিশ ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন ডিভাইস নিয়েছিলে। কিন্তু পুলিশ মামলার কোথাও সেই ডিভাইসগুলোর কথা উল্লেখ করনি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আর আদালতের এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ডিভাইসগুলো উদ্ধার হলো।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি সহকর্মীদের নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিওচিত্র ধারণ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ শেষে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন তিনি। শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এতে সিনহার সহযোগী সিফাতকেও আসামি করা হয়।

অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় ভিডিওচিত্রটির পরিচালক শিপ্রা দেবনাথকে আসামি করা হয়। তারা দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।

পরবর্তীতে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এদের মধ্যে বরখাস্তকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিত ৭ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে