লাখে ১০ হাজার টাকা লাভ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভুয়া এমএলএম ব্যবসা গ্লোবাল কোম্পানির আটজন গ্রেপ্তার
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গ্লোবাল ন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানির ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রহকে লাখে ১০ হাজার টাকা লাভ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভুয়া এমএলএম ব্যবসা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এক লাখ টাকা জমা দিলে প্রতি মাসে লাভ ১০ হাজার টাকা-এমন লোভ দেখিয়ে ১৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকা। এভাবেই ব্যবসা চালিয়ে আসছিল গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি।
সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ট্র্যাভেল এজেন্সির আড়ালে গত এক বছরে ২শ’ ৫০ কোটি টাকার লেনদেন করেছে এটি। বৃহস্পতিবার, রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় র্যাব এর অভিযানে প্রতিষ্ঠানের আটজনকে গ্রেপ্তার করার পর এই তথ্য দেয় তারা।
২০১৯ সালের শুরুতে ট্র্যাভেল এজেন্সি হিসেবে ব্যবসা শুরু করে ‘গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। পরে, সরকারি অনুমোদন না নিয়েই এমএলএম ব্যবসায় নামে তারা। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে লাখে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রলোভন দেখায় তারা। কয়েক মাস লাভের টাকা দিলেও পরে নানা অজুহাতে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
র্যাব বলছে, গত এক বছরেই কোম্পানিটি ১৫ হাজার গ্রাহক সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে ১৩ হাজার সক্রিয়। প্রথমে দালাল নিয়োগ করে টার্গেট করা ব্যক্তিদের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক করে নেয়। শুরুতে রেজিস্ট্রেশন বাবদ নেয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এটি।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, ৫৬ লাখ টাকা যে গ্রাহক এখানে দিয়েছেন। যার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই তদন্ত পরিচালনা করলাম, তাকে কয়েক মাস টাকা দিচ্ছিল না এই প্রতিষ্ঠান। তারপর তিনি তার মূল টকা চাইতে এলে। এরা তার নামটাই ডিলিট করে দেন।
কোন ধরনের আর্থিক লেনদেনের অনুমতি নেই। এক বছরে আড়াইশো কোটি টাকা লেনদেন করলেও হিসাব দিতে পেরেছে ৪০ কোটি টাকার। লে. কর্নেল রকিবুল হাসান আরও বলেন, আমরা এক বছরের মাথায় এই কোম্পানিটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। দেরি হলে আরও অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
পরে, প্রতিষ্ঠানের এমডি জাহিদুল ইসলামসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে জধন। পলাতক রয়েছে তিনজন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। আর গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বিষয়টি আদালতে সুরহা হবে বলেও জানায় জধন।
11